উদ্ধারকাজে অব্যবস্থাপনা: নড়বড়ে এরদোগানের গদি

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০২:৪৮:১০

উদ্ধারকাজে অব্যবস্থাপনা: নড়বড়ে এরদোগানের গদি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখল তুরস্ক। অনেকেই বলছেন, উদ্ধারকারীরা যথা সময়ে পৌঁছাতে না পারায় কিংবা উদ্ধার সক্ষমতার অভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। এ জন্য রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের প্রশাসনকেই দায়ী করছে জনগণ ও বিরোধী দলের একটা অংশ।

অনেকে বলছেন, তরিৎ ব্যবস্থা নিতে পারলে অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে পারত এরদোগানের প্রশাসন। আর এই অবস্থায় গেল ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন এরদোগান।
উদ্ধারকাজে কিছু অব্যবস্থাপনা ও সক্ষমতার অভাবের খানিকটা স্বীকার করে নিয়েছেন এরদোগান। তবে তিনি এই বিপর্যয়ের জন্য ভাগ্যকেই দুষছেন। এরদোগান বলেন, ‘এমন ঘটনা সবসময়ই ঘটে। এটা ভাগ্যেরই একটা অংশ।’

তবে তুরস্কে ভূমিকম্পের পরই জোরেশোরে আলোচনায় এসেবে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড না মানার বিষয়টি। অনেকেরই অভিযোগ, তরতরিয়ে বেড়ে ওঠা নগর ব্যবস্থায় ভবন নির্মাণের তদারকিতে ব্যাপক ঘাটতি ছিল প্রশাসনের।

এ বিষয়ে ইস্তাম্বুলের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর নাসি গোরুর ২০২০ সালের ভূমিকম্পের পরই ঝুঁকির কথা অনুমান করতে পেরেছিলেন বলে দাবি করেছেন। এসময় তিনি, আদিয়ামান ও কাহরামানমারাসে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে বলেও ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন।

এই অধ্যাপকের দাবি, ‘‘আমি স্থানীয় সরকার, গভর্নর ও কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করেছিলাম।, আমি বলেছিলেন, দয়া করে আপনাদের শহরগুলোকে ভূমিকম্প মোকাবেলার জন্য তৈরি করুন। তবে আমরা তাদেরকে থামাতে পারিনি, তারা নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত করার সব ব্যবস্থাই করেছে।’’

ভূমিকম্প প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মুস্তাফা এরদিকের বিশ্বাস, বিল্ডিং কোড না মানায় এতো ব্যাপক প্রাণহানী হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা ক্ষতি মেনে নেব, তবে এমন ধরনে ক্ষতি নয়।’ ‘এটা ঠেকানো যেত এবং তারাই এমন প্রাণহানীর ব্যবস্থা করে রেখেছিল।’

এসব কর্মকাণ্ডের কারণে সবমিলিয়ে তুরস্কে এরদোগান বিরোধী জনমত তৈরি হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।সূত্র: বিবিসি


প্রজন্মনিউজ২৪/একে

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ