চীনের উহানে আবারো লকডাউন

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই, ২০২২ ১১:২৩:০১

চীনের উহানে আবারো লকডাউন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ চীনের উহান শহরে আবারো লকডাউন জারি করা হয়েছে। নতুন করে করে শহরের জিয়াংশিয়া এলাকায় চারজনের দেহে করোনা শনাক্তের পর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বার্তাসংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, লকডাইনের কারণে শহরটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। ফলে আগামী তিন দিন তারা ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। তবে যে কয়েকজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে তারা সবাই উপসর্গহীন।

চীন ‘শূন্য কোভিড’ নীতি গ্রহণ করেছে। দেশজুড়ে গণ পরীক্ষা, সঙ্গনিরোধ আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিয়ে এ নীতি কার্যকর করার চেষ্টা করছে চীন সরকার। এ নীতি গ্রহণের ফলে চীনে করোনায় মৃত্যুহার অন্যান্য দেশের তুলনায় কমে এসেছে। তবে এ নীতির ফলে চীনের অনেক মানুষ বিরক্ত, কারণ তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, দুই দিন আগে করোনার নিয়মিত পরীক্ষায় দুই ব্যক্তির শরীরে উপসর্গবিহীন করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের মাধ্যমে আরও দুজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর লকডাউনের আদেশ জারি করা হয়।

এর আগে চীনের অর্থনৈতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত সাংহাইয়ে লকডাউন জারি করেছিল চীন সরকার। দুই মাসের কঠোর লকডাউনের পর গত মাসে সাংহাই থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর উহানে লকডাউন জারি করা হলো।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই উহান শহরেই প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সে সময় শুরু থেকেই ওই শহরে লকডাউন জারি করা হয়। করোনা শনাক্তের পর থেকেই চীন গণটেস্টিং, কঠোর লকডাউন এবং আইসোলেশন মেনে চলা হচ্ছে। এর ফলে বিশ্বের অনেক দেশেই যখন লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে সে সময়ই চীন সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই-ই কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

উহানের হুয়ানানের সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজারই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র ছিল এমন প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চীনে এখন পর্যন্ত ২২ লাখের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশটিতে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭২০ জনের।

যদিও, চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। দেশটির দাবি, করোনাভাইরাসের উত্‍‌স নির্দিষ্ট কোনো একটা জায়গায় নয়। একাধিক উত্‍‌স থেকে কোভিড-১৯ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য চীনের এই দাবির সঙ্গে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই একমত নয়। সূত্র: বিবিসি


প্রজন্মনিউজ২৪/এসএমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ