আজ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ৩৪তম জন্মদিন

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ, ২০২১ ১২:০৯:৫৫ || পরিবর্তিত: ২৪ মার্চ, ২০২১ ১২:০৯:৫৫

আজ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ৩৪তম জন্মদিন

৩৩ থেকে ৩৪ বছরে পদার্পণ করলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বাংলাদেশের মহাতারকা সাকিব আল হাসান। আজকের দিনে ১৯৮৭ সালে মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই তারকা ক্রিকেটার।

মাগুরা মাতিয়ে সাকিব ৬ মাসের কোর্স করার জন্য বিকেএসপিতে এসে ভর্তি হন। অনুর্ধ্ব-১৯ দলে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সুযোগ পান। এছাড়া খুলনা বিভাগীয় দলে জাতীয় লিগে খেলার জন্য তালিকাভুক্ত হন।

২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব​-১৯ ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে (অপর দুটি দেশ ছিল ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা) মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও ৩টি উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সহায়তা করেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সাকিব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ৩৫.১৮ গড়ে সংগ্রহ করেন মোট ৫৬৩ রান এবং ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।

এরপর ২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে সাকিব প্রথমবারের মত বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান। সেই সিরিজেই আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের।

২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠে আসেন সাকিব। এই ধারাবাহিকতায় টেস্টেও নিজের কার্যকারিতা প্রমাণ করে সেরা অলরাউন্ডারের আসন দখল করেন তিনি। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হন তিনি। যা ক্রিকেট বিশ্বে একমাত্র ঘটনা।

ওয়ানডে অভিষেকের পরের বছরই ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে সাকিবের অভিষেক হয়। ২০০৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি। ২০০৯ সালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফির ইনজুরির কারণে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একইভাবে দায়িত্ব পান তিনি। এরপর তার নেতৃত্বেই ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলে বাংলাদেশ।

দেশের হয়ে রেকর্ডবুকের কোন পাতায় নেই সাকিব তা খুঁজে পাওয়াই যেন দুষ্কর। বেস্ট বোলিং ফিগার, সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট-সব বিভাগেই প্রথম তিন জনের একজন সাকিব। সারা বিশ্বের প্রায় সব ফ্রাঞ্চাইজি লিগ খেলা একমাত্র বাংলাদেশি। তবে সাকিব আলাদা ভাবে আলোচনায় ক্যারিয়ার জুড়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে। নিষিদ্ধ হয়েছেন। তবে সমালোচকদের মুখে কুলুপ এঁটেছেন মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। 

সাকিবের ক্যারিয়ার

টেস্ট ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ৫৭ টি, ব্যাট করেছেন ১০৬ ইনিংস, রান ৩৯৩০, গড় ৩৯.৭০, শতক ৫ টি, অর্ধশতক ২৫ টি, উইকেট ২১০ টি, ইনিংসে ৫ উইকেট ১৮ বার, ক্যাচ ২৪ টি। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাট হাতে দলের ১৩.৯০% ও বল হাতে ২৭.২৪ উইকেট একাই নিয়েছেন সাকিব।

ওডিআই ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন ২০৯ টি, ইনিংস ১৯৭ টি, রান ৬৪৩৬, গড় ৩৮.০৮, স্ট্রাইক রেট ৮২.৩৪, শতক ৯ টি, অর্ধশতক ৪৮ টি, উইকেট ২৬৬ টি, বোলিং গড় ২৯.৭৩, ইনিংসে ৫ উইকেট ২ বার, ক্যাচ ২৪ টি।

ওডিআই ক্রিকেটে ব্যাট হাতে দলের ১৪.৫১% রান ও বল হাতে দলের ১৭.৬২% রান একাই করেছেন সাকিব আল হাসান।

টি-২০ ক্রিকেটে ৭৫ ইনিংসে রান ১৫৬৭, উইকেট ৯২ টি, ইনিংসে ৫ উইকেট ১ বার, ক্যাচ ১৯ টি!

ব্যক্তিগত জীবন

২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী উম্মে আহমেদ শিশিরের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি দুইটি কন্যা সন্তান এবং একটি পুত্র সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ের নাম আলাইনা হাসান অব্রি এবং ছোট মেয়ের নাম ইররাম। ২০২১ সালের ১৬ মার্চ (বাংলাদেশ সময়) তৃতীয় সন্তানের বাবা হন সাকিব আল হাসান।

প্রজন্মনিউজ২৪/লিংকন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ