বাংলা ভাষা : প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই, ২০১৭ ০৩:৫১:৫৯

বাংলা ভাষা : প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ

নদীস্রোতের মতো নিয়ত প্রবহমান ভাষাস্রোত- নিয়তই চলে ভাষার রূপ-রূপান্তরের পালা। নিয়ত এই পরিবর্তনের ফলে একদিকে ভাষা যেমন উন্নত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি সৃষ্টিও হচ্ছে নানামাত্রিক সমস্যা। উদ্ভূত সমস্যাবলির মধ্যে একটি হচ্ছে ভাষার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ সমস্যা। নেতিবাচক প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ার কারণে আমাদের দেশে কথ্য ও লেখ্য ভাষা হিসেবে শতকরা প্রায় ৯৫ জনই বাংলা ব্যবহার করে থাকে।

ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নানা পর্যায় অতিক্রম করে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে বিজয় লাভের পর মাতৃভাষা বাংলার গুরুত্ব ও তাৎপর্যও বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে। এটি যেমন উৎসাহসম্ভব, তেমনি একই সঙ্গে উদ্বেগেরও কারণ। ভাষা ব্যবহার সম্পর্কে জনগোষ্ঠীর মধ্যে লক্ষ করা যায় নানা প্রবণতা, ফলে দেখা দেয় বহুমুখী সমস্যা।

মুখের কথায় ভাষা যেভাবেই ব্যবহৃত হোক না কেন, লেখার ভাষায় থাকা চাই শুদ্ধতা ও পরিশীলনের ছাপ, থাকা চাই লাবণ্য ও ব্যাকরণিক সমর্থন। কখনো কখনো এই সতর্কতা ও নিষ্ঠা থাকে না বলে দেখা দেয় নানা গোলমাল। বাংলা ভাষার বয়স প্রায় চৌদ্দশ' বছর। এ দীর্ঘ সময়ে বাংলা ভাষায় সর্বদা সংযুক্ত হয়েছে নতুন নতুন উপাদান।

আমাদের ভাষাভাণ্ডারে যুক্ত হয়েছে নানা বিদেশি ভাষা। আরবি, ফার্সি, পর্তুগিজ, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষা থেকে আমরা গ্রহণ করেছি অনেক শব্দ। বাংলা ভাষায় আছে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দের বিপুল ব্যবহার। বিভিন্ন ভাষার উপাদানে গঠিত বাংলা ভাষায় তাই সর্বদা লক্ষ করা যায় এক ধরনের সংকর চারিত্র্য।

বানান, উচ্চারণ- এসব ক্ষেত্রে বিভিন্নতা তো লেগেই আছে, আর এসব নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যেও আছে নানা বিতর্ক। সেই বিতর্কের মাত্রা এমন যে, কখনো কখনো প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ নিয়ে কথা বলাও রীতিমতো ভাবনার বিষয় হয়ে ওঠে। দীর্ঘকাল ধরে ব্যবহারের ফলে একটি অশুদ্ধ শব্দই আপাত শুদ্ধ হয়ে ওঠে, ঢুকে পড়ে অভিধানের শরীরে; কখনো কখনো একটি অপপ্রয়োগ ভাষা ব্যবহারকারীদের চেতনায় এমনভাবে গেঁথে যায়, শুদ্ধ প্রয়োগটাই অপপ্রয়োগ বলে মনে হয়।

ফরাসি দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে যে, ভাষা ব্যবহার করতে গিয়ে কানকে কখনো খাটো কর না। যদি এমন হয়, নির্দিষ্ট শব্দটির প্রতি ব্যাকরণের সমর্থন নেই, কিন্তু কান সায় দিচ্ছে, তাহলে ব্যাকরণকে উপেক্ষা করে কানের দাবিকেই মেনে নাও। প্রসঙ্গত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাও উল্লেখ করা যায়।

ব্যাকরণ অনুসারে 'ইতিমধ্যে' অশুদ্ধ হলেও প্রচলিত, শুদ্ধ শব্দ 'ইতোমধ্যে'। কিন্তু 'ইতিমধ্যে' বলতে বলতে বাংলাভাষী মানুষ এত অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, এর শুদ্ধি-অশুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা অর্থহীন। এ সূত্রেই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন- 'ইতিমধ্যে'র শুদ্ধরূপ 'ইতোমধ্যে' কথাটার ওকালতির উপলক্ষে আইনের বই ঘাঁটার প্রয়োজন অনেক আগেই ফুরিয়েছে।

বানান, উচ্চারণ, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কের অবসানের জন্য নানা সময়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯৩৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত 'বানান সংস্কার সমিতি' থেকে আরম্ভ করে এ যাবৎ নানা উদ্যোগের কথাই আমাদের জানা।

বহু সভা-সমিতি হয়েছে, হয়েছে অসংখ্য সেমিনার-ওয়ার্কশপ। কিন্তু কোনো মীমাংসায় আসা যায়নি। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের বহু মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে, আছে পৃথিবীর নানা অঞ্চলে বাংলাভাষী জনগোষ্ঠী। গর্বভরেই এ কথা বলা হয়, বাংলা ভাষার সূর্য এখন আর অস্তমিত হয় না।

বাংলা ভাষার ব্যাপক এই ব্যবহার আমাদের আশান্বিত করে, একই সঙ্গে একটা দুঃখজনক প্রবণতাও নজরে পড়ে। বানান, উচ্চারণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে এখন চলছে চরম বিশৃঙ্খলা- নানা অঞ্চল, ভিন্ন দেশের মধ্যেও আছে নানা অসঙ্গতি ও বিভিন্নতা। কেবল কথ্যভাষার ক্ষেত্রেই নয়, এই বিশৃঙ্খলা ও বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে সাহিত্যের ভাষার ক্ষেত্রেও।

সংবাদপত্রের পাতায়, পোস্টার-বিজ্ঞাপন-সাইনবোর্ডে, বেতার-টেলিভিশনে ভাষিক অপপ্রয়োগের বহর দেখে তো রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়। সাধারণ মানুষের ভাষা ব্যবহার নিয়ে আমাদের এসব কথা নয়- আমরা বলছি মূলত যারা লেখেন তাদের ভাষা সম্পর্কে, যেসব মাধ্যম গণমানুষের কাছে যায় সেসব মাধ্যম সম্পর্কে।

বাংলা ভাষায় বর্ণাশুদ্ধি ও অপপ্রয়োগের যে নৈরাজ্য চলছে, তাতে কেবল বাংলা ভাষার প্রতি অবহেলা বা উদাসীনতাই প্রকাশ পায় না, একই সঙ্গে ভাষার নিয়মশৃঙ্খলা সম্পর্কে বিপুল অজ্ঞতাও প্রকট হয়ে দেখা দেয়। ভাষা ব্যবহারে অশুদ্ধি প্রধানত তিনটি কারণে ঘটে থাকে- ক. উচ্চারণ দোষে, খ. শব্দ গঠন ত্রুটিতে এবং গ. শব্দের অর্থগত বিভ্রান্তিতে।

বহুবচনের দ্বিত্ব ব্যবহার, অনন্বয়, দোষ, বিশেষ্য ও বিশেষণ সম্পর্কে ধারণার অভাব, শব্দের গঠনগত অশুদ্ধি, শব্দকে বিনা প্রয়োজনে নারীবাচক করা- ইত্যাদি কারণে শব্দের অপপ্রয়োগ ঘটে থাকে। লেখাই বাহুল্য যে, অনেক ক্ষেত্রেই ভাষা-ব্যবহারকারীর অজ্ঞতার কারণেই ঘটে থাকে অপপ্রয়োগের ঘটনা।

যারা লেখক এক্ষেত্রে তাদের সচেতনতা খুবই জরুরি। কেননা, তার লেখা পাঠ করে অগণিত মানুষ প্রভাবিত হয়, প্রভাবিত হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই বলে থাকেন, অর্থ বুঝতে পারলেই তো হলো, শুদ্ধি-অশুদ্ধি নিয়ে অত মাথা ঘামানোর কী প্রয়োজন? না, এটা কোনো কাজের কথা নয়।

বলার সময় আমরা যেভাবেই বলি না কেন, লেখার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এই দৃষ্টিকোণেই আমরা ভাষার প্রয়োগ-অপপ্রয়োগের প্রসঙ্গটি দেখতে আগ্রহী। কয়েকটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বিষয়টি আমরা নিম্নোক্তভাবে উপস্থাপন করতে পারি- ১. বহুবচনের দ্বিত্বজনিত ভুল : অনেক সময়েই দেখা যায়, ভাষা ব্যবহারকারী অশুদ্ধভাবে বহুবচনের দ্বিত্ব ব্যবহার করে থাকেন।

এ প্রবণতা এত ব্যাপক যে, কোন লেখক এ ত্রুটি থেকে মুক্ত তা খুঁজে বের করাও প্রায় দুরূহ হয়ে ওঠে। 'সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো', 'সব প্রকাশ মাধ্যমগুলো', 'নিম্নলিখিত সব শিক্ষার্থীগণ', 'সব উপদেষ্টামণ্ডলী', 'কতিপয় সিদ্ধান্তবলি', 'দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাসমূহে'- এমন ধরনের বহুবচনের দ্বিত্বজনিত অপপ্রয়োগ অহরহ চোখে পড়ে।

সামান্য সতর্কতাই এ ত্রুটি থেকে লেখককে মুক্তি দিতে পারে। উপরের দৃষ্টান্তগুলোর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- 'সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশ', অথবা 'সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলো', 'প্রকাশ মাধ্যমগুলো' অথবা 'সব প্রকাশ মাধ্যম', 'নিম্নলিখিত সব শিক্ষার্থী' অথবা 'নিম্নলিখিত শিক্ষার্থীগণ', 'সব উপদেষ্টা' অথবা 'উপদেষ্টামণ্ডলী', 'কতিপয় সিদ্ধান্ত', 'দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলায়' অথবা 'দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে' ইত্যাদি।

এমন একটি অপপ্রয়োগের উদাহরণ 'কর্তৃপক্ষগণ'। কেননা, কর্তৃপক্ষ শব্দটি বহুবচন বাচক। 'কর্তৃপক্ষ' শব্দের অর্থ শাসকগণ, পরিচালকগণ, নিয়ন্ত্রকগণ ইত্যাদি। অতএব, কর্তৃপক্ষ শব্দের শেষে 'গণ' প্রয়োগ বাহুল্য ও অশুদ্ধ। ২. ইং, তাং, নং, চৌং ইত্যাদি : অধিকাংশ বাঙালি তারিখের পর 'ইং' বলে একটা 'চিহ্ন' লিখে থাকে।

তারিখ, নম্বর, চৌধুরী_ এসব শব্দকেও লেখা হয় তাং, নং, চৌং রূপে। এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। কবে এ প্রবণতার সূত্রপাত তা আমাদের জানা নেই। তবে এসব চলছে দীর্ঘদিন ধরে- শিক্ষিত, শিক্ষার আলোকবঞ্চিত নির্বিশেষে। কিন্তু কেন এমন হলো? তারিখ, নম্বর, চৌধুরীর পরিবর্তে যদি সংক্ষিপ্তরূপে লেখা হতো তা. ন. চৌ. তাহলেও মানা যেত।

কিন্তু সংক্ষেপে চিহ্নের পরিবর্তে কেন অনুস্বর (ং) বর্ণ? মনে রাখতে হবে সংক্ষেপে চিহ্ন (.) একটা বিরাম চিহ্ন, পক্ষান্তরে অনুস্বর (ং) হচ্ছে একটা বর্ণ। একটা বর্ণ দিয়ে একটা বিরাম চিহ্নের কাজ চালাতে গিয়েই ঘটেছে দৃষ্টিকটু অপপ্রয়োগ। তারিখ লেখার পর 'ইং' লেখা অনেকটা জাতীয় মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে।

'ইং' কি ইংরেজির সংক্ষিপ্ত রূপ? এক্ষেত্রে এক ধরনের অপপ্রয়োগ ঘটল- সংক্ষিপ্ত চিহ্নের (.) স্থলে বসানো হলো একটি বর্ণ (ং)। অন্যটি কী? পৃথিবীতে ইংরেজি সাল বলে তো কোনো সাল নেই। তাই 'ইং'-এর প্রশ্নই আসে না। খ্রিস্টীয় সালকে কে ইংরেজি সাল বলে চালিয়ে দিল? প্রথমে যে-ই চালু করুক না কেন, এ ক্ষেত্রে তার 'সাফল্য' বিস্ময়কর।

একটা অপপ্রয়োগের ব্যাধিতে গোটা বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীই আক্রান্ত। এমনকি পহেলা জানুয়ারিতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ঘোষক-ঘোষিকা, সংবাদ-পাঠকের মুখে শোনা যায় 'ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা' জানানোর কথা, পর্দায়ও ভেসে ওঠে অভিন্ন শুভেচ্ছা, জাতীয় দৈনিকের পাতায়ও জানানো হয় একই রকম অপপ্রয়োগজাত শুভেচ্ছা।

৩. প্রেক্ষিত : পরিপ্রেক্ষিত অর্থে বাংলা ভাষায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় 'প্রেক্ষিত' শব্দটি। লেখাই বাহুল্য যে, এটা ভুল প্রয়োগ। 'প্রেক্ষিত' শব্দ এসেছে 'প্রেক্ষণ' থেকে। 'প্রেক্ষণ' বিশেষ্য পদ, যার অর্থ দৃষ্টি। এ থেকে তৈরি হয়েছে বিশেষণ পদ 'প্রেক্ষিত' (উচ্চারণ 'প্রেকখিতো') যার অর্থ দর্শিত বা যা দেখা হয়েছে।

অর্থাৎ 'প্রেক্ষিত' শব্দের সঙ্গে দৃষ্টি/দেখা/দর্শিত এসব অর্থ জড়িত আছে। কিন্তু এই অর্থকে পাল্টে দিয়ে অধিকাংশ লেখক 'প্রেক্ষিত' শব্দ ব্যবহার করেন পটভূমি/পরিপ্রেক্ষিত/ Perspective/background অর্থে। এই ব্যবহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ. ডি পর্যায়ের অভিসন্দর্ভের শিরোনামাতেও কখনো কখনো লক্ষ করা যায়।

এ বিষয়ে সকলের সতর্কতা জরুরি। ৪. জন্মজয়ন্তী : 'জন্মজয়ন্তী' শব্দের ব্যবহারও এত বেশি যে একটি অপপ্রয়োগই শুদ্ধ প্রয়োগ বলে মনে হতে পারে। 'জয়ন্তী' শব্দের মাঝেই আছে জন্ম-প্রসঙ্গ; কাজেই জয়ন্তীর পূর্বে 'জন্ম' শব্দের প্রয়োজন পড়ে না। 'জয়ন্তী' শব্দের অর্থ জন্মোৎসব, কোনো ব্যক্তির জন্মতিথি উপলক্ষে উৎসব।

গ্রাম থেকে শহরে আসা শিক্ষার আলোকবঞ্চিত কোনো কৃষক যদি হাসপাতালে তার আত্দীয়কে দেখে এসে বলেন, 'হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আসার সময় রোগীকে ফলফ্রুট দিয়ে এলাম'- এক্ষেত্রে 'ফলফ্রুটে'র ক্ষেত্রে যেমন অপপ্রয়োগ ঘটে, তেমনি অপপ্রয়োগ হয় 'জন্মজয়ন্তী'র ক্ষেত্রেও। অতএব, রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মজয়ন্তী না বলে বলা উচিত 'রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জয়ন্তী'।

৫. অত্র-তত্র-যত্র : 'অত্র' শব্দের অর্থ এখানে, 'তত্র' সেখানে, 'যত্র' যেখানে, 'যত্র-তত্র' যেখানে-সেখানে। 'অত্র' কখনোই 'এই' অর্থে ব্যবহার শুদ্ধ প্রয়োগ হতে পারে না। কিন্তু 'অত্র অফিস', 'অত্র বিশ্ববিদ্যালয়', 'অত্র স্থান'- এমন ব্যবহার প্রায়শই চোখে পড়ে। শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- এই অফিস, এই বিশ্ববিদ্যালয়, এই স্থান প্রভৃতি।

কাজেই 'এই' অর্থে 'অত্র' যত্রতত্র যাতে ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে ভাষা-ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন