প্রেমিকের আত্মহত্যায় হারপিক খেয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা !

প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:৫০:৫০ || পরিবর্তিত: ০৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:৫০:৫০

প্রেমিকের আত্মহত্যায় হারপিক খেয়ে প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা !

একে অপরকে ভালোবেসেছিলেন সোহাগ-জুলিয়া। প্রেমিকাকে বিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রেমিক। কিন্তু প্রেয়সীর তর সইছিল না। মনের মানুষের বাড়ি গিয়ে ধরনা ধরেন বিয়ের। বাড়ির লোকের মন না চাইতেও মেনে নিচ্ছিলেন। সোহাগও অনেকটা পিছিয়ে আসেন। এলাকার লোকজন তাদের নিয়ে কানা-ঘুষা করছিল। তাই লজ্জায় অপমানে ‘আত্মহত্যা’ করেন সোহাগ। আত্মহননের চেষ্টা করে জুলিয়া এখন হাসপাতালে।

ঘটনাটি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সোহাগ (১৯)। আজ শুক্রবার সকালে হারপিক খেয়ে আত্মহনন করতে গিয়ে ব্যর্থ জুলিয়া (১৭) বর্তমানে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন ও দুই পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা সোহগ-জুলিয়া রাজশাহীতে লেখাপড়া করেন। সোহাগ পড়েন রাজশাহী পলিটেকনিক্যালে, জুলিয়া সিটি কলেজে। একই গ্রামের ও পরিচিত হওয়ায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে জুলিয়াকে বিয়ের আশ্বাস দেন সোহাগ।

ছুটি থাকায় নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি আসেন দুজনই। এর মধ্যে প্রেমিকের আশ্বাসে তর সইতে না পেরে তার বাড়ি এসে বিয়ের দাবিতে ধরনা ধরেন জুলিয়া। এতে কিংকর্তব্যবিমূড় হয়ে পড়েন পৌর সদরের আনন্দনগর গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে। তবে জুলিয়ার দাবির কাছে নত হয়ে মন না চাইলেও তাকে মেনে নিচ্ছিল সোহাগের পরিবার।

এদিকে গ্রামে একটি মেয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ জুলিয়াকে দেখতে আসে। কোনো কিছু না খাওয়ার কারণে সে সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে জুলিয়া। এ কারণে এলাকাবাসীর মাঝে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ফলে প্রেমিকাকে মেনে নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন সোহাগ।

বিকেলের দিকে স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন সোহাগদের বাড়ি আসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয় জুলিয়ার পরিবারও। পরে দুই পরিবারকে নিয়ে বসে ঘটনার মিমাংসা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন তিনি।

বৈঠক চলাকালীন রাত ১২টার দিকে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সোহাগ। সকালে প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে টয়লেট পরিষ্কার করার পদার্থ হারপিক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন জুলিয়া। পরিবারের লোকজন তা দেখতে পেয়ে তাকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোহাগের আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাবিল

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ