প্রকাশিত: ১০ অগাস্ট, ২০১৯ ০২:১৭:৫০
নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ আর ছাতা ছাড়া মুসল্লিরা অন্য কিছু সাথে আনতে পারবেন না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
প্রয়োজন হলে পুলিশ জায়নামাজ ও ছাতা খুলেও তল্লাশি করতে পারবে।
শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, “রাজধানীজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে সবচেয়ে বড় জামাত জাতীয় ঈদগাহ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতকে ঘিরে সুদৃঢ়-সমন্বিত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।”
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুরো এলাকা সিসিটিভি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি আন্তঃবেস্টনী-বহিঃবেস্টনী ঘিরে মোট পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা সদস্যদের বিপুল সংখ্যক সদস্য সাদা পোশাকে অবস্থান করবে। সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে।’
‘‘ঈদ জামাতে প্রবেশে মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আব্দুল গণি রোড, দোয়েল চত্বর, মৎসভবন মোড়সহ কয়েকটি ব্যারিকেড থাকবে। এসব রাস্তা দিয়ে ঈদগাহের দিকে পায়ে হেঁটে আসতে হবে।
“ব্যারিকেডের ভেতরে সবাইকে তল্লাশি করে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। যারা জামাতে আসবেন তারা সঙ্গে দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, ছুরি, দিয়াশলাই নিয়ে আসবেন না। সঙ্গে জায়নামাজ ও বৃষ্টি হলে ছাতা ছাড়া কিছুই আনা যাবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ প্রয়োজনে মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা খুলে তল্লাশির পর ঈদগাহে প্রবেশের অনুমতি দেবেন।’’
এরপর প্রধান গেইটে আবারো আর্চওয়ে-মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সেখানে দৈবচয়নের ভিত্তিতে আরো ব্যাপক তল্লাশি চালনো হতে পারে।’’
নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে আগত মুসল্লিদেরকে পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদগাহে ফায়ার সার্ভিস, মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত থাকবে। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারী করা হবে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ কাজ করবে।’
ঈদ উপলক্ষে আরো ৪-৫ দিন আগে থেকেই মহানগরীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় যত্রতত্র কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার জন্য নগরবাসীকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। এতে করে সিটি কর্পোরেশন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নিতে পারবে। কোরবানির বর্জ্য থেকে যেন ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বৃদ্ধি না পায়, সেজন্য নগরবাসীকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
এর আগে ঈদগাহ ময়দানে ডিএমপি কমিশনার স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) এবং কে-নাইন (ডগ স্কোয়াড) দলের নিরাপত্তা মহড়া দেখেন করেন।
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার: কাজী ফিরোজ
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান হবে না: আব্দুস সালাম
২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি কমেছে ১৫.৪৯ শতাংশ
উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব ফেলতে পারেন
ঘোড়াঘাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাপমুক্ত আওয়ামী লীগ
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ
ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন
যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি: কাদের