ইট ফিউচারের এমডির বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ধর্ষণ মামলা

প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০১৯ ০৩:৩৭:৫৫

ইট ফিউচারের এমডির বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীর ধর্ষণ মামলা

ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রেজাউল ইসলাম সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের ট্রাইব্যুনালে আরজি করেছেন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী (২৯)।

ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানাকে বাদীর আরজি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে বাদীপক্ষের আইনজীবী শুভ্র সিনহা রায় বলেন, ট্রাইব্যুনালে গতকাল সোমবার বাদী এ আরজি দাখিল করেন। ওইদিন শুনানির পর বিচারক আজ আদেশের দিন ধার্য করেন। পরে আজ আদেশ প্রদান করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, ব্রাইট ফিউচার হোল্ডিং লিমিটেডের এমডির সহযোগী পারভীন আক্তার (২৯), কাজী সামছুর রহমান (৪০) ও হারুন অর রশিদ (৪০)।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, রেজাউল ইসলাম সোহেলের সঙ্গে বাদীর ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরে ৩ কাঠা প্লট ক্রয়ের মৌখিক চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাদী সোহেলকে ২৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। ১৪ মাস পরে সোহেল চুক্তিটি বাতিল করে গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট থেকে একটি ফ্ল্যাট বাদীকে দেওয়ার লিখিত চুক্তি করেন। দুই বছর পরও সোহেল সেটাও বুঝিয়ে দিতে তালবাহানা শুরু করলে এক সালিশে আসামি তার একটি প্রজেক্ট বিক্রি করে বাদীকে ৬৪ লাখ প্রদান করবেন বলে জানান। একই সঙ্গে তার এক কর্মচারীর ৭ লাখ টাকার ছয়টি চেক বাদীকে প্রদান করেন।

আরজিতে বলা হয়, চেক প্রদান করার পর আসামি সোহেল বাদীকে বীমা চেক ও চুক্তিনামা ফেরত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি ও হুমকি দেখান। এ বিষয়ে বাদী ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরবর্তীতে বাদী ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে আসামি সোহেলের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলার পর তা তুলে নিতে আসামি হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি বাদীকে আপোষের প্রস্তাব দেন। আসামি পারভীন আক্তার আপোষের বিষয়ে তাকে বোঝান এবং বলেন, তাকে অন্য স্থানে প্লট দেওয়া হবে।

গত ২৪ এপ্রিল আসামিদের সঙ্গে বাদীর মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। বাদী আপোষের কথা না মানলে সোহেল তাকে তার একান্ত রুমে নিয়ে আলাপ করেন। সোহেল বাদীকে বলেন, তাকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাকে জমি ফেরত দেবেন। বাদী অন্তঃসত্ত্বা জানালেও আসামি পারভীনের সহযোগিতায় আসামি সোহেল বাদীকে ধর্ষণ করেন, যা আসামি পারভীন ভিডিও ধারণ করেন। ধর্ষণের পর বাদী দরজায় ধাক্কা মেরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে আসামি কাজী সামছুর রহমান এবং হারুন অর রশিদ তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন এবং শ্লীলতাহানী করেন। এমনকি মামলা তুলে না নিলে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

প্রজন্মনিউজ২৪/নাবিল

এ সম্পর্কিত খবর

সিংড়ায় অগ্নিকান্ডে পুড়লো ১২ স্বর্ণের দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

প্রচণ্ড গরমে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করবে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা

এলাকার রেজান আলীর প্রতারণার ফাঁদে ফারুক মিয়া

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব ফেলতে পারেন

কাচিয়ায় ৭নং ওয়ার্ড উপনির্বাচনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে জ্বিন প্রতারনা মামলার অনুসন্ধানশ্লিপ পাঠিয়েছে সিআইডি

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে অভিযান, নারীসহ আটক ১২

মৎস্য মন্ত্রী বলেন দুই ভাই হত্যার জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি: কাদের

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ