প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ১২:২৫:২০ || পরিবর্তিত: ২৬ অক্টোবর, ২০১৮ ১২:২৫:২০
হাসিব বিল্লাহ, পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দিন দিন বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে সুপারির চাষ। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সুপারির হাট জমে উঠেছে। ইন্দুরকানীর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সুপারি যাচ্ছে উত্তরা লের সবচেয়ে বড় আড়ত সৈয়দপুরে। ওখান থেকেই স্থানীয় পাইকাররা সুপারি কিনে সরবরাহ করছে উত্তরের ১৬ জেলায়। জানিয়েছেন স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে সুপারির ফলন ভালো হয়। তাই এ উপজেলার ছোট-বড় বিভিন্ন হাটকে সামনে রেখে উপজেলার প্রায় ২/৩শ, মৌসুম ব্যবসায়ীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন সুপারি কেনা বেচায়। গত বছরের তুলনায় এ বছরে সুপারির দাম বেশি তাই বেশ খুশি স্থানীয় সুপারি চাষিরা।
সুপারির ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে সুপারির দাম ভালো থাকায় স্থানিয় চাষিরা দিনে দিনে সুপারি চাষে আগ্রহী হচ্ছে। গত ১০ বছর পূর্ব থেকে উপজেলার চাষিরা স্বল্প পরিসরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুপারির চাষ শুরু করে। আর এ চাষে লাভবান হওয়ায় দিন দিন সুপারি চাষ ব বেড়ে চলছে।
কয়েক বছর পূর্বে স্থানিয় লোকজন বিভিন্ন মিশ্র গাছের বাগান করতেন এখন শুধু মাএ শুপারি চাষ করেন। কারন শুপারি ৫/৬ বছরের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় সে তুলনায় কাঠের গাছে বড় হয়না।
উপজেলার পত্তাশী বাজারের সুপারি বিক্রি করতে আসা আব্দুল আঃ রহির নামের এক চাষি জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সুপারি চাষে খরচ অনেক কম। আমার ৩০ শতাংশ জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে ২১০ পিস সুপারিতে এক কুড়ি হয়। বর্তমান বাজারে প্রতি কুড়ি সুপারি গড়ে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার পত্তাশী বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার ,আবুল হোসেন শিকদার ,জানান প্রতি মৌসুমে আমরা বিভিন্ন বাজার ও গ্রামের চাষিদের কাছ থেকে সুপারি ক্রয় করে বড় ট্রাক-যোগে সুপারির বড় মোকাম খুলনায় ও সৈয়দপুরে পাঠাই। আঃ বরেক নামের অপর এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি ১৬/১৭ বছর যাবৎ সুপারির ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন মোকামে চালান করেন।
ইন্দুরকানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌহিদ্দিন ভ’ইয়া,জানান এখানে পূর্ব থেকেই সুপারি উৎপাদন হতো। কিন্তু তখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সুপারির চাষ হতো না। তখন শুধু উপজেলার বিভিন্ন বসত ভিটার চারপাশে, বিভিন্ন পতিত জমিতে, ঘের অথবা পুকুর পাড়ে, রাস্তার পাশে সুপারি গাছ ছিল।
এ চাষ দিনদিন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হচ্ছে। এখানে অনেক আগে থেকে প্রচুর সুপারি গাছ ছিল। সুপারি একটি লাভজনক ফল হওয়ায় উপজেলার অনেক চাষিরা তাদের পতিত জমিতে সুপারির বাগান করছেন। আমরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিচ্ছি। দিনে দিনে এ চাষের পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিরি আর জানান আমাদের উপজেলায় ৯৫০ হেক্টও জমিতে শুপারী আবাদ হয়েছে হেক্ঠর প্রতি ফলন স্থানিয় ভাবে ২৫হাজার কুড়ি, যার বর্তমান বাজার মুল্য ৫ লক্ষ টাকা। সুপারি গাছে তেমন কোনো রোগ হয় না। তবে সুপারি পাকার আগে কোনো কোনো গাছে সুপারিতে পোকা লাগে। এক প্রকার কীটনাশক প্রয়োগ করে সেটি দমন করা যায়।
প্রজন্মনিউজ২৪/হাসিব বিল্লাহ/জামান
ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন-২৪
বাসের সঙ্গে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘষে নিহত ১ আহত ৩
ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
পার্বতীপুরে তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ইস্তেস্কার নামাজ আদায়
হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ
পঞ্চগড়ে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
মোস্তাফিজকে নিয়ে বিসিবির ভাবনা ঠিক নেই: হার্শা ভোগলে
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী