যোগীরগাঁও কবরস্থান রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট প্রশাসন

প্রকাশিত: ০৮ মে, ২০১৮ ০১:৩৮:১৭ || পরিবর্তিত: ০৮ মে, ২০১৮ ০১:৩৮:১৭

যোগীরগাঁও কবরস্থান রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট প্রশাসন

 সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের যোগীরগাঁও গ্রামের কবরস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় জালালাবাদ থানা পুলিশ উদ্যোগ গ্রহন করেছে।জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম যোগীরগাঁও পঞ্চায়েতী কবরস্থান ও প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি উভয় পক্ষের সাথে মতবিনিয় করেন।মতবিনিময় শেষে কোম্পানীকে দুষিত পানির প্রবাহ বন্ধের আহবান জানালে তারা আগামী ২২ মে পর্যন্ত সময় চেয়ে নেন।

এসময় তিনি বলেন, কোম্পানীর দুষিত পানি কবরস্থানের পবিত্রতা নষ্ট করার পাশাপাশি পরিবেশকে দুষিত করছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনী। তাই পরিবেশ সুন্দর রাখার স্বার্থে দুষিত পানি অবশ্যই বাইরে আসা বন্ধ করতে হবে। এটা শুরু থেকেই করা উচিত ছিল।এর আগে ২০ এপ্রিল শুক্রবার বাদ জুম্মা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের যোগীরগাঁও প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সামনে গ্রাম ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না করলে পরবর্তীতে এলাকাবাসী কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে ৫ মে শনিবার জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম যোগীরগাঁওবাসী ও প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্তৃপক্ষকে থানায় সমস্যা সমাধানের জন্য বসার আহবান জানালে গ্রামবাসীর পক্ষে সাংবাদিক মকসুদ হোসেন মকসুদ, এডভোকেট আব্দুল হান্নান, এলাকার মুরুব্বি শাহজাহান মিয়া, এরশাদ আলী, আফরোজ আলী, আলতাফ আলী, তৈয়বুর রহমান ভুলু, জমসিদ মিয়া, সুরুজ আলী এবং প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো পক্ষে সিইও মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম চৌধুরী ও ম্যানেজার থানায় উপস্থিত হন।

উভয় পক্ষের সাথে আলোচনার পর সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।পরিদর্শনকালে উল্লেখিত গণ্যমান্য ব্যক্তিগণসহ আরো উপস্থিত ছিলেন মো. আবুল মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক, শহীদ আহমদ, বেলায় মিয়া, বারিক আলী, ফয়সল মিয়া, হবি মিয়া, আব্দুস সত্তার, কাহার মিয়া, কালা মিয়াসহ গ্রামের জনগণ।উল্লেখ্য, প্রিমিয়াম ফিশ এগ্রো কর্তৃপক্ষের সাথে প্রায় ২ বছর যাবৎ এলাকাবাসীর দফায় দফায় আলাপ আলোচনা হয়েছে।

কিন্তু তারা সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাসই দিয়েছেন। বাস্তবে কোন উদ্যোগ নেননি।৯ এপ্রিল এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও জালালাবাদ থানায় স্মারকলিপি প্রদান করেন। এছাড়াও গত ১৬ এপ্রিল সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ২০ এপ্রিল মানববন্ধন থেকে আলটিমেটাম দেয়ার পর গতকাল বিষয়টির সমাধানে সমঝোতা হয়।এদিকে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মো. আবুল মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জালালাবাদ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্টেট আদালতে পাঠানো হয়। মামলাটি বিচারাধীন।

হাফিজুল ইসলাম লস্কর / মোঃ আতাউর রহমান

এ সম্পর্কিত খবর

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষকের জনজীবন

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন, সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন: প্রধানমন্ত্রী

তীব্র গরমের মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ