হাবিপ্রবিতে নবম গ্রেড হতে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৬:৫১:৫৫

হাবিপ্রবিতে নবম গ্রেড হতে তদুর্ধ্ব কর্মকর্তাগণের জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে নবম গ্রেড হতে তদুর্ধ্ব গ্রেডের কর্মকর্তাগণের জন্য “অফিস ব্যবস্থাপনা” বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ তে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, সভাপতিত্ব করেন আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ, সঞ্চালনা করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) এর উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান এম. আমিনুর।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মাত্র ৫৫ বছরের জীবনে ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন, পরিবারকে বঞ্চিত করেছেন। লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম ও সম্মানজনক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই তিনি এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তজার্তিক চক্রের সহযোগিতার মাধ্যমে জাতির পিতা কে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ করে, এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড। আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রত্যয়ে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭৭ বছর বয়সেও তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। বিশেষ করে ২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের পরই শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে কতটা স্বচ্ছ করা যায় সেটি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন। এটির প্রধান লক্ষ্য হলো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, অংশগ্রহণমূলক ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা। আপনারা জানেন অন্যান্য দপ্তরের ন্যায় তার নির্দেশনায় আমরাও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রশাসনিক গতিশীলতা আনয়নের চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে আপনাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেকটা পিছিয়ে আছি, এর থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আজকের এই প্রশিক্ষণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বর্তমানে অফিস ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। প্রশাসনে এক সময় লাল ফিতার দৌরাত্ম্য তথা স্থবিরতা ছিল, এর থেকে মুক্তি দিয়েছে ডি-নথি। ডি-নথির মাধ্যমে যেকোন সময় যেকোন স্থানে থেকেই অফিসের কাজ করা যাবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রশাসনে গতিশীলতা নিয়ে আসা। আপনাদের সকলকে এর সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সকলকে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যেতে হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এফএইচ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ