আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে রমজান মাস

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:৪১:০৫

আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে রমজান মাস


ইসলাম প্রতিনিধি: আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস।রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ।রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সওম,বহুবচনে বলা হয় সিয়াম। সওম অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা। পরিভাষায় সওম হলো আল্লাহর সন্তুটি কামনায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার থেকে বিরত থাকা।

রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি,যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো,পরহেজগার হতে পারো। এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি,রোজার বিধান দেওয়া হয়েছে তাকওয়া অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের উপযোগী হওয়া,নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।

রমজানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো,আল্লাহ্ তাআলা এ মাসটিকে স্বীয় ওহি সহিফা ও আসমানি কিতাব নাজিল করার জন্য মনোনীত করেছেন। অধিকাংশ কিতাব এ মাসেই নাজিল হয়েছে।

হাদিসে বর্ণিত,হজরত ইব্রাহিম (আ:)–এর সহিফা রমজানের ১ তারিখে,তাওরাত রমজানের ৬ তারিখে,জাবুর রমজানের ১২ তারিখে, ইঞ্জিল রমজানের ১৮ তারিখে এবং পবিত্র কোরআন কদরের রাত্রিতে নাজিল হয়েছে। নিশ্চয়ই আমি এই কোরআনকে কদরের রাত্রিতে নাজিল করেছি। রমজান মাসের রোজা পালনকে ফরজ আখ্যায়িত করে আল্লাহ্ তাআলা সুরা বাকারা ১৮৫ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেন, রমজান মাস যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে আর এ কোরআন মানবজাতির জন্য পথের দিশা, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন,হক বাতিলের পার্থক্যকারী। অতএব,তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাসটি পাবে সে এতে রোজা রাখবে,যদি সে অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা সফরে থাকে,সে পরবর্তী সময়ে গু​নে গুনে সেই পরিমাণ দিন পূরণ করে দেবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান,তোমাদের জন্য কঠিন করতে চান না,যাতে তোমরা গণনা পূরণ করো এবং তোমাদের হিদায়াত দান করার দরুন আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনার পর কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ