৭৫ একরের লাইব্রেরি যেখানে স্বপ্নবাজদের দেখা মেলে

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৪৮:৫৮ || পরিবর্তিত: ০৪ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৪৮:৫৮

৭৫ একরের লাইব্রেরি যেখানে স্বপ্নবাজদের দেখা মেলে

বেরোবি প্রতিনিধি:পাখির কিছিমিছি, কাক ডাকা ভোর যখন শুরু হয় এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় দুই একজনের আনাগোনা। ৭টা বাজতে না বাজতেই প্রতিটি ব্যাগ উঠে যায় কারও না কারও কাঁধে। এরপর শুরু হয় লাইব্রেরিতে যাওয়ার প্রস্তুতি । কে কার আগে যেতে পারবে চলে সেই প্রতিযোগিতা। অনেক সময় সঠিক সময়ে লাইব্রেরিতে পৌঁছালেও সিট মেলে না। পরে মনে কষ্ট নিয়ে বাহিরের কোথাও চেয়ার নিয়ে বসে পড়তে হয়।

বলছি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের কথা যারা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইব্রেরিতে দিন পার করে। কারো স্বপ্ন বিসিএস ক্যাডার, কারো স্বপ্ন একটা ভালো চাকরি, বা কারো স্বপ্ন একটা ভালো রেজাল্ট। আর এই সব স্বপ্নবাজদের মিলনমেলা যেন বেরোবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে।  
আর এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে পরিচিত দৃশ্য। এভাবে সংগ্রাম যারা করেন, তাঁদের অধিকাংশই পড়ছেন চাকরির পড়া বা ক্লাসের পড়া। গবেষণার জন্য খুব কম শিক্ষার্থীই যান সেখানে। চাকরি প্রত্যাশীদের আর ক্লাসের পড়ার ভিড়ে সেখানে ঠাই মেলে না গবেষণা বা কোর্স পড়ার জন্য যাওয়া শিক্ষার্থীদের।

যারা বইয়ের পাতায় ওম খুঁজে পান জীবনের, তাদের একান্ত ঠিকানা বাতিঘর হলো লাইব্রেরি । আর সেই ঠিকানায় ফিরতে চলে কতো সংগ্রাম। পরিতৃপ্তির লোভে প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের ভিড় লেগে যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে। এটি শুধু এখন আর লাইব্রেরি নয় এটা এখন শিক্ষার্থীদের প্রশান্তির জায়গায় পরিণত হয়েছে। 

শাকিল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা প্রায় শেষের পথে আর এখন স্বপ্ন একটা ভালো চাকরি করে পরিবারের হাল ধরা। আর একটা ভালো চাকরি পেতে প্রতিদিন আমাকে এই লাইব্রেরিতে আসতে হয় আর স্বপ্নের চাকরি পেতে এখানে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়াশোনা করতে হয়। 
আবির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, মেসে পড়াশোনা করতে মন চাইলেও নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে ভালোভাবে পড়াশোনা করা যায় না আর ভালো পড়াশোনার উপর আমার ভবিষ্যতে কোথায় পৌঁছাবো তা নির্ভর করে। আর এখানে পড়াশোনা করতে বা মন দিয়ে পড়াশোনা করা যায়। 


বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু সমস্যায় ও পড়তে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থী লাইব্রেরিতে পড়ার পরিবেশ নিয়ে কিছু সমস্যার কথাও জানান। 

মেহেরাজ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, লাইব্রেরিতে যখন আমরা পড়াশোনা করি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরনের কালচারাল প্রোগ্রাম হয় এতে উচ্চস্বরে গান বাজানো হয় যারফলে অনেক সময় আমাদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে এবং পড়াশোনা করতে অসুবিধা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি স্বপ্নবাজদের দেশ বলা হয় তাহলে লাইব্রেরি হলো স্বপ্নবাজদের রাজধানী যেখানে গেলে হাজারো স্বপ্নবাজদের দেখা মেলে। স্বপ্নবাজদের সংগ্রাম,খুব কাছ থেকে দেখা মেলে লাইব্রেরি নামক স্থানে।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমআই 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ