রাবিতে শেষ হয়েছে চার দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১০:২১:০৩

রাবিতে শেষ হয়েছে চার দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন

রাবি প্রতিনিধি: জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আদলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চার দিনব্যাপী ৭ম ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন শেষ হয়েছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং স্থায়িত্ব অর্জন একটি সমৃদ্ধ বাস্তুতন্ত্রের জন্য নৈতিকতা, উদ্ভাবন এবং 'বৈশ্বিক সমন্বিত চর্চার মাধ্যম' এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মডেল ইউনাইটেড নেশনস এসোসিয়েশন (আরইউমুনা)।

রোববার(১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মির্জা এএফএম রাশেদুল হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন আরইউমুনার উপদেষ্টা ও ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুইরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হেমন্ত কুমার ভদ্র।  আরইউমুনার সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল শাহরিয়ার ইমন, সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল ইমরুল হাসান, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মেহেদী হাসান শুভ।

সেক্রেটারি জেনারেল মো. মুজাহিদ তালুকদার বলেন, বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতা দূরীকরণ করে আন্তঃসীমান্ত ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে শান্তি রক্ষা করা এবারের ছায়া জাতিসংঘের লক্ষ্য। বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে উদ্যোগের বিষয় হলো নিরাপত্তাহীনতা। গঠনমূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে কীভাবে সংকটময় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায় ও বৈশ্বিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে আন্তঃসীমান্ত ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে শান্তি রক্ষা করাই এবারের ছায়া জাতিসংঘের লক্ষ্য।

অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, ২০১০ সাল থেকে বিশ্বে চতুর্থ বিপ্লব শুরু হয়েছে। কত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ বিভিন্ন টেকনোলজি দিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এগিয়ে চলেছে কিন্তু আমরা শুধু মোবাইল ফোন নিয়েই পড়ে আছি। পঞ্চম শিল্প বিপ্লব আমাদের দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ৫ম শিল্পবিপ্লবের সৈনিক হতে হবে তোমাদের। আমরা এই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শিক্ষা-দিক্ষায় অনেক পিছিয়ে আছি। আরইউমুনা সম্মেলনগুলো সেই শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে কাজ করে চলেছে। এসময় সংগঠনটি এমন আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।

এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রায় ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারীরা আটটি কমিটিতে ভাগ হয়ে নির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি অনুযায়ী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয় ও সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে। কমিটিগুলো
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা, জাতিসংঘ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক পরিষদ, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা, আন্তজার্তিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থা, বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষায়িত পরিষদ,  বিশ্ব ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধিদেরকে ৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ২৮ জনকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সকল অংশগ্রহণকারীকে দেওয়া হয় সনদপত্র। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে চার দিনব্যাপী এই সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনটির মিডিয়া পার্টনার ছিলেন জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ ২৪ কম, যমুনা টেলিভিশন এবং রেডিও পার্টনার হিসেবে ছিলেন রেডিও কার্নিভাল।

উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতিসংঘ ছায়া সংসদ একটি বিতর্ক সংস্থা। জাতিসংঘের অধিবেশনে যে ধারায়
বিতর্ক হয় তার আদলেই দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতিসংঘের ন্যায় কমিটি গঠন করে ২০১৩ সাল থেকে বিতর্ক করে যাচ্ছে আরইউমুনা। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক উপায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে উপযোগী করাই আরইউমুনার মূল লক্ষ্য।


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ