বুধবার ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচন

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৭:১৪:৫৩

বুধবার ইন্দোনেশিয়ায় নির্বাচন

অনলাইনডেস্ক: আগামীকাল বুধবার বিশ্বের সবথেকে বড় ‘একদিনের নির্বাচনি উৎসব’ ইন্দোনেশিয়ায়। ২০ কোটিরও বেশি মানুষ ভোট দেবেন এই নির্বাচনে। ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নির্বাচনি গণতন্ত্রের দেশ। আবার এটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মধ্যেও সবথেকে বড়। ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর শাসনামল শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটি নিরবিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্রের পথে হাটছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে প্রতিবেশি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই ও থাইল্যান্ডের থেকে পিছিয়ে থাকলেও, ক্রমশ এই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। 

ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন প্রতিবারই বিশ্বজুড়ে বেশ আলোচিত হয়। দেশটি আকারে বিশাল। এটি যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও বেশি প্রশস্থ। তিনটি টাইম জোন রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটির আছে ১৮ হাজার দ্বীপ।

এরমধ্যে মাত্র তিন ভাগের একভাগে মানুষ বাস করে। মোট ১৫০টিরও বেশি ভাষাভাষির মানুষ রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে মোট ২০ হাজার জাতীয় ও আঞ্চলিক আইনপ্রনেতাকে নির্বাচিত করবে সেদেশের জনগণ। নির্বাচনের ফলাফলে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখবে তরুণ ভোটাররা। ভোটারদের অর্ধেকের বয়সই ৪০ বছরের কম।
নির্বাচনের প্রধান তিন প্রার্থীর মধ্যে আছেন এক সাবেক জেনারেল ও দুই সাবেক গভর্নর। প্রবোও সুবিয়ানতো একজন ৭২ বছর বয়সী সাবেক জেনারেল। তিনি ইন্দোনেশিয়ার বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই জিততে চলেছেন নির্বাচনে।

প্রবোও সাবেক সরকার সুহার্তোর প্রাক্তন জামাতা। সুহার্তোকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে। যদিও এই বিতর্ক প্রবোওর জনপ্রিয়তাকে ক্ষুন্ন করেনি। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে যখন প্রবোও জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তখন তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। তবে তিনি বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এরপর বছরের পর বছর ধরে তিনি গণতন্ত্রের সমর্থক হিসাবে তার ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করেছেন। কিন্তু অনেক কর্মী ও বিশ্লেষক তার অতীত নিয়ে ভীত। 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং প্রফেসর কেনেথ রথ সিএনএন-কে বলেন, প্রবোও একসময় সুহার্তোর পক্ষপাতী ছিলেন। এখন নিজেকে একজন গণতন্ত্রপন্থী হিসেবে জাহির করা তার জন্য রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক। তবে আমার আশঙ্কা প্রেসিডেন্টের পদে আরোহণ করতে পারলে তিনি তার নৃশংস অতীতে ফিরে যাবেন। 

নির্বাচনের আরেক প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ক্ষমতাসীন ইন্দোনেশিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ স্ট্রাগলের প্রার্থী গঞ্জার প্রনোভো। তিনি সেন্ট্রাল জাভার গভর্নর হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর ফলে জাকার্তার বাইরেও তার বড় সমর্থন রয়েছে। তার রানিং মেট হচ্ছেন বর্তমান সিনিয়র মন্ত্রী মাহফুদ।

এছাড়া জাকার্তার সাবেক গভর্নর অ্যানিস বাসওয়েদান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলির সাথে তার দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। তিনি যাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঠিক করেছেন, সেই মুহাইমিন ইস্কান্দার হলেন ইন্দোনেশিয়ার বৃহত্তম মুসলিম রাজনৈতিক দলের নেতা। অ্যানিস জাকার্তার সাবেক গভর্নর ছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ এনে নির্বাচনে জিতেছিলেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/এফএইচ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ