৬ ঘণ্টা পর মা-মেয়ে উদ্ধার, বললেন ‘ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি’

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৫:৫৪:৪৬

৬ ঘণ্টা পর মা-মেয়ে উদ্ধার, বললেন ‘ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি’

মাসুম বিল্লাহ, খুলনা প্রতিনিধি: হাসপাতালের সামনে থেকে তুলে নেওয়ার ৬ ঘণ্টা পর সেই মাইক্রোবাসে করেই খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় হাজির হয়েছেন ধর্ষণের অভিযোগ করা সেই তরুণী ও তার মা। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের পর গণমাধ্যমের কাছে ওই তরুণী দাবি করেছেন, তাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি। কোনো অভিযোগ না থাকায়, পুলিশ সবাইকে ছেড়ে দিয়েছে। রাত ১২টায় ডুমুরিয়ার নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন তারা।

এর আগে শনিবার রাতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী।  বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অনেক দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ছিল তার। শনিবার রাত সোয়া ১১টায় ওই নারী নিজেই  খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হন।

রোববার বিকাল সাড়ে ৫টায় তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হলে হাসপাতালের ওসিসির সামনে থেকে ফিল্মিস্টাইলে তরুণী ও তার মাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়  ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদু্জ্জামান। তিনি ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় তৈরি হলে তৎপর হয় পুলিশ।

আইনশৃংখলা বাহিনীসহ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তুলে নেওয়ার পর ওই তরুণী ও তার মাকে কেশবপুর উপজেলার তাদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টায় সেই মাইক্রোবাসে করে থানায় উপস্থিত হন তরুণী ও তার মা। থানায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

জিজ্ঞাসাবাদের পর গণমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, ধর্ষণের শিকার হননি। তাঁকে তাঁর ভাই ও আরেক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করেছিলেন। রোববার বিকেলে সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি গাড়িতে নিজেই রওনা দেন এবং যশোরের কেশবপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। এরপর পুলিশ তাদের খবর দেওয়ায় তারা থানায় এসেছেন।

কেন ওই দু’জন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি কোনো জবাব দেননি। নিজে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দাবি করে অতিরিক্ত প্রশ্ন করলে ‘পাগল’ হয়ে যাবেন বলেও দাবি করেন।

সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানিয়েছেন, ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ তাঁকে ধর্ষণ করেননি। এ ছাড়া খুমেক হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাঁকে কেউ অপহরণও করেনি। নিজেই এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।

আমিরুল ইসলাম আরও জানান, অপহরণের অভিযোগে আটক করা এজাজের চাচাতো ভাই গাজী তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধেও ওই তরুণীর কোনো অভিযোগ নেই। সে কারণে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকে তরুণীর ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ। অন্যদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজও লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছেন। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ