শিক্ষা বৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দিলো পিসিসিপি বান্দরবান

প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১০:৪২:০৬

শিক্ষা বৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা দিলো পিসিসিপি বান্দরবান

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যােগে পিসিসিপি শিক্ষাবৃত্তি ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১.০০টায় বান্দরবান শহরের ইসলামপুর এলাকার মুসাফির পার্কে অবস্থিত সাঙ্গু বিলাসে ছাত্রাবাসে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠান পিসিসিপি বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি আসিফ ইকবালের সভাপতিত্বে ও সি, সহ-সভাপতি জমির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ, বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি বান্দরবান জেলা সিঃ সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সহ-সভাপতি আব্দুস শুক্কুর, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল, পিসিসিপি বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ, রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এ সময় প্রধান অতিথি কাজী মজিব বলেন, শিক্ষা, চাকরি, ব্যবসা ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বৈষম্য করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যানুপাতে সকল সুযোগ-সুবিধা বণ্টন করতে হবে।

মেডিক্যাল, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সকল উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় কোটা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ১৯৮৪ সাল থেকে। প্রতি বছর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩২৫ জন উপজাতি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে কোটাতেই। নতুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এর সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়েছে। অন্য দিকে একই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বাঙালিদের জন্য কোটা তো দূরে থাক তেমন কোনো সুযোগ এখনো তৈরি করা হয়নি। পিছিয়ে পড়া অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী দু’টি জনগোষ্ঠীর জন্য দুই রকম নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। তাই উপজাতি কোটা সংশোধন করে পার্বত্য কোটা চালু করে সকল জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। 

এবং পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত বাঙালি শিক্ষার্থীদের সকল ক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকার দেওয়ার দাবি জানান কাজী মজিব।

আলোচনা সভা শেষে, শতাধিক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয় এবং বান্দরবানের চল্লিশ জন এসএসসি, এইচএসসিতে উত্তির্ণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃতি সংবর্ধণা দেওয়া হয়। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির নব নির্বাচিত সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম কে পিসিসিপি বান্দরবান জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক ও ফুল দিয়ে সংবর্ধণা দেওয়া হয়।


প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ