জ্বর নিয়ে সচেতনতা

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:২৫:০৫

জ্বর নিয়ে সচেতনতা

প্রজন্ম ডেস্ক: যে কোনো ভাইরাস জ্বর ৩ থেকে ৫ দিন টানা ১০২/১০৩ ডিগ্রী আসতে পারে এবং কমলেও তা ১০১ ডিগ্রীর নিচে নাও নামতে পারে। কাজেই জ্বর শুরু হওয়ার পরের বেলাতেই বা পরের দিনই জ্বর কেন কমছে না, সেটি ভেবে অস্থির হওয়া যাবে না।

একদিনে জ্বর কমিয়ে দেওয়ার কোনো মেডিসিন বা ম্যাজিক ডাক্তারদের জানা নাই। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক কোনো কাজে লাগে না যদি না কোনো ইনফেকশনের সোর্স পাওয়া যায় যা অনেক সময় প্রকাশ পেতে ৩ দিনও লেগে যায়।

জ্বর হলে বাচ্চা খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিবে, বড়রাও দেয়। এ অরুচির প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা নাই। সবার মতো আপনাকেও বুঝিয়ে শুনিয়ে অল্প অল্প করে পানি, তরল জাউ, স্যুপ, শরবত বা বাচ্চা যেটা খেতে চায় (এমন কিছু দিবেন না যা আবার বমি, পাতলা পায়খানা ঘটায়) তাই খাওয়াবেন। প্রস্রাব যেন অন্তত ৪ বার হয়। মুখে একদমই খেতে না পারলে, প্রস্রাব কমে গেলে, বমি বন্ধ না হলে বা খিঁচুনি হলে বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।

হালকা জ্বরে (১০০ থেকে ১০২) গা মুছে দিবেন, মুখে ওষুধ খাওয়াবেন। একবার ওষুধ খাওয়ানোর পর আবার সিরাপ দিতে অন্তত ৪-৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। আর সাপোসিটারি দিতে হলে অন্তত ৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

বেশি জ্বরে (১০২-এর উপরে গেলে) তাড়াতাড়ি জ্বর কমানোর প্রয়োজন হলে সাপোসিটরি ব্যবহার করতে পারেন (যদিও এটা বাচ্চাদের জন্য অস্বস্তিকর), এতে জ্বর সাময়িকভাবে হয়তো ১০২ ডিগ্রীর নিচে নামতে পারে তবে পুরোপুরি জ্বর চলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই ১ম তিন দিনে। একটি সাপোসিটরি দেওয়ার ৮ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটা সাপোসিটরি দিতে পারবেন না। তবে ৪-৬ ঘণ্টা পর সিরাপ দিতে পারেন।

জ্বরের ওষুধ ডাবল ডোজে বা ঘন ঘন খাওয়ালে কিংবা এন্টিবায়োটিক দিলেই জ্বর ভালো হয়ে যাবে ব্যাপারটা এমন না। ভাইরাসের পরিমাণের উপর, কতদিন এরা এক্টিভ থাকে তার উপর জ্বরের স্থায়ীত্ব নির্ভর করে।

জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর চেয়ে বাচ্চার যত্ন নিন, ভিজা গামছা বা সুতি কাপড় দিয়ে গা মুছে দিন, গরম ও নরম খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন, সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাকে বিশ্রাম নিতে দিন। ভালো ঘুমাতে দিন, ঘুমের মধ্যে জ্বর থাকলেও তাকে ঘুম ভাঙিয়ে জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর দরকার নাই।

থার্মোমিটার দিয়ে মেপে জ্বর ১০০ ডিগ্রী বা বেশি পেলেই জ্বরের ওষুধ খাওয়াবেন। গায়ে হাত দিয়ে গরম লাগা, জ্বর ৯৮/৯৯ ডিগ্রী; জ্বরের আগে শীত শীতভাব, অস্থির করা জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর কোনো কারণ হতে পারে না।

বাচ্চাদের এসিডিটি কম হয়, তাই একদম সম্ভব না হলে, খালিপেটে জ্বরের ওষুধ দিতে পারেন।

জ্বর হলে বাচ্চার এক আধটু বমি হতে পারে, কিছু জ্বরের ওষুধেও বাচ্চাদের বমি হয়। এসব ক্ষেত্রে বমির ওষুধ লাগে না, প্রয়োজনে জ্বরের ওষুধ পালটান। ওষুধ খাওয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে বমি করলে ১৫-২০ মিনিট পর আবার ওষুধটুকু খাওয়াতে হবে।

লেখক : চিকিৎসক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল


প্রজন্মনিউজ২৪/এসআই

এ সম্পর্কিত খবর

খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটিতে টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির পরিদর্শন এবং "সেন্টার অব এক্সিলেন্স" এর উদ্বোধন

পবিপ্রবি ও ভারতের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

খুলনা হাতপাখা ও ঠান্ডা পানি পেয়ে স্বস্তিতে শ্রমিকরা

নোবিপ্রবিতে " এ " ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি হার ৮৭•৮৫ শতাংশ

জীববিজ্ঞানের অনুবাদমূলক গবেষণা নিয়ে রাবিতে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজিত

মেয়েকে বিয়ে দিতে না চাওয়ায় অপহরনের স্বীকার তরুনী

আগামী দুইদিন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙতে পারে

‘ডামি’ সরকারের উন্নয়নের ভেল্কিবাজীতেবাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে তিন বিদেশি শক্তি কাজ করেছে: জিএম কাদের

যে শর্তে ইসরাঈলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ