মাত্র সাত মিনিটেই নিরাময় হবে ক্যান্সার

প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০১:০৭:৫২

মাত্র সাত মিনিটেই নিরাময় হবে ক্যান্সার

একটা ছোট্ট ইঞ্জেকশান। সিরিঞ্জ দিয়ে তরল শরীরে যাওয়ার পর গুণে গুণে সময় নেবে মাত্র সাত মিনিট। ব্যস, তাতেই কেল্লাফতে। দিব্যি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে মরণ রোগে আক্রান্ত শত শত রোগী। সম্পূর্ণ নিরাময় হবে ক্যান্সারের।

বর্তমান যুগের অন্যতম ভয়ংকর মরণ রোগের চিকিৎসায় ব্রিটেনের সরকারি স্বাস্থ্য দফতরের এমন দাবি ঘিরে শোরগোল। তবে কি ক্যান্সারের প্রতিষেধক হাতে পেতে চলেছে বিশ্ববাসী? ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চুলছেরা বিশ্লেষণ।

গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ স্বাস্থ্য দফতরের অন্তর্গত মেডিসিন অ্যান্ড হেলথ কেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি অথরিটি এজেন্সি বা MHRA-র তরফে ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষ একটি ইঞ্জেকশানের ছাড়পত্র দেয়া হয়। উল্লেখ্য, শুধু মাত্র ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা আগে কখনও করা হয়নি। সেদিক থেকে এই পদক্ষেপকে নজিরবিহীন বলে মানছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ব্রিটেনের National Healthcare Service বা NHS-র দাবি, এই ইঞ্জেকশানের প্রয়োগে ক্যান্সার চিকিৎসার সময় প্রায় তিন চতুর্থাংশ কমবে। এই চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল ইমিউনোথেরাপি। জানা গেছে, ব্রিটেনে এর পর থেকে ওই ইঞ্জেকশান প্রয়োগ করে ওই থেরাপি শুরু করবেন চিকিৎসকরা।

ক্যান্সার নিরাময়ের বিশেষ ওই ইঞ্জেকশানটির নাম অ্যাটেজোলিজুম্যাব বা টেসেনট্রিক। ইঞ্জেকশানটির নির্মাণকারী ওষুধ সংস্থার নাম রোশ প্রোডাক্টস লিমিটেড। এতোদিন পর্যন্ত ইমিউনোথেরাপি শুরু করার আগে ধমনীতে ইঞ্জেকশান দিতে হত। কিন্তু অ্যাটেজোলিজুম্যাবের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা থাকছে না। এই ইঞ্জেকশান ত্বকে দিতে হবে বলে জানিয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা।

ব্রিটিশ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আলেকজান্ডার মার্টিনের কথায়, আগে ইঞ্জেকশান দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হত। বহু রোগীর ধমনী খুঁজে পাওয়া যেত না। তাছাড়া সেগুলি কাজ শুরু করতে সময় নিত আধ থেকে এক ঘণ্টা। অ্যাটেজোলিজুম্যাবের ক্ষেত্রে সেই সময় কমে মাত্র সাত মিনিট দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ক্যান্সার নিরাময়ের এই ইঞ্জেকশান নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্মাণকারী সংস্থার মেডিক্যাল অফিসার মারিয়াস স্কোলজ। ‘অ্যাটেজোলিজুম্যাব-র কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। দ্রুত কাজ করার ফলে এর রোগ উপসমের ক্ষমতা অনেক বেশি,’ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ক্যান্সার চিকিৎসায় বর্তমান সময়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কদর বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে জানা যাবে ক্যান্সারের নতুন কোন ওষুধের ট্রায়াল কোথায় চলছে। শুধু তাই নয়, ট্রায়ালে অংশ নিলে নিরাময়ের সম্ভাবনা কতটা, তাও জানাবে এআই। সূত্র: রয়টার্স।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ