নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষকদের সমালোচনার কড়া জবাব দিল তুরস্ক

প্রকাশিত: ১৭ মে, ২০২৩ ০১:২৫:১৫

নির্বাচন নিয়ে পর্যবেক্ষকদের সমালোচনার কড়া জবাব দিল তুরস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কে ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এককভাবে প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে
তুরস্কে ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী এককভাবে প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছেছবি: এএফপি ফাইল ছবি
তুরস্কে গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি ছিল। যৌথ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মিশনের দেওয়া এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা এ ধরনের বক্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে।
১৪ মে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এর পরদিন ১৫ মে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ইউরোপভিত্তিক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ওএসসিইর ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (ওডিআইএইচআর), ওএসসিই পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি (ওএসসিই পিএ) এবং পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অব দ্য কাউন্সিল অব ইউরোপের (পিএসিই) প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলন করেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ওডিআইএইচআরের প্রধান জ্যান পিটারসেন বলেন, ‘আমি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে নির্বাচনী প্রশাসনের কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি সরকারি সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখা গেছে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা ছিল।’


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নির্বাচনী প্রশাসনের সব পর্যায়ের কাছে আসা অভিযোগগুলো যে প্রক্রিয়ায় সামলানো হয়েছে, তাতে স্বচ্ছতার ঘাটতি আছে। সুপ্রিম ইলেকটোরাল কাউন্সিল যেসব সিদ্ধান্ত জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে, সেগুলো যথেষ্ট যুক্তিসংগত নয়।

নির্বাচনে স্বচ্ছতার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম যেভাবে পক্ষপাতিত্বের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করেছে, তা উদ্বেগের।
বুধবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এদিন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রতিবেদনে যেসব কথা বলা হয়েছে, তা নির্বাচনী প্রক্রিয়া আওতাবহির্ভূত এবং তা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ নীতিমালার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ এবং পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্যের কারণে ওএসসিই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হবে।

ওএসসিইর প্রতিনিধিদল বলছে, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলো সরকারি দলের মতো একই ধরনের পরিবেশ পায়নি। আর এ অসম পরিবেশের কারণে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের রাজনৈতিক দল এবং তাদের মিত্রদলগুলো সুবিধা পেয়েছে।


তবে পিটারসেন বলেছেন, কয়েকটি ঘটনা ছাড়া সাধারণ নির্বাচন ‘অনেকটাই শান্তিপূর্ণ’ ছিল। তুরস্কের সর্বোচ্চ নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ (ওয়াইএসকে) দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

পর্যবেক্ষকদের প্রতিনিধিদলটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের বিপুল উপস্থিতিরও প্রশংসা করেছে। একে দৃঢ় গণতান্ত্রিক চেতনার স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে উল্লেখ করেছে তারা।

রোববার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানসহ কোনো প্রার্থীই এককভাবে প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে। ২৮ মে এরদোয়ান এবং কেমাল কিলিচদারোগলুর মধ্যে দ্বিতীয় দফার এ নির্বাচন হবে।

প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট আর কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএইচ

এ সম্পর্কিত খবর

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপি: কাদের

অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষকের জনজীবন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ