বগুড়ায় নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন, ০৪ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২৩ ১১:১৬:০২

বগুড়ায় নাহিদুল ইসলাম নয়ন হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন, ০৪ জন গ্রেফতার

সামিদুল ইসলাম, বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া গাবতলী থানাধীন মহিষাবান ইউপির অন্তর্গত মহিষাবান দেবোত্তরপাড়া সোনারপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোছাঃ সিরি এর বাড়ীর পিছনে জনৈক মোঃ মজনু (৪০) পিতা-মৃত মহির উদ্দিন প্রাং এর নির্জন বাঁশঝাড়ের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম নয়নকে এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। তখন তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে নয়নকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, বগুড়ায় নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  ১১ ইং তারিখ অনুমান রাত্রী ৯.৩০ ঘটিকার সময় নাহিদুল ইসলাম নয়ন মৃত্যুবরন করেন। 

উল্লেখিত বিষয়ে বগুড়া এর গাবতলী থানায় রুজুকৃত এফআইআর নং-১৫, তারিখ-১৩ মার্চ, ২০২৩; ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড এর প্রেক্ষিতে বগুড়া জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জনাব নিয়াজ মেহেদী, সহকারী পুলিশ সুপার, গাবতলী সার্কেল, বগুড়া এর তত্ত্বাবধানে ২০ খ্রিঃ বিভিন্ন সময়ে নিখুত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডিবি বগুড়া’র ইনচার্জ মোঃ সাইহান ওলিউল্লাহ, এর নেতৃত্বে ডিবি বগুড়া’র একটি চৌকস টিম ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত এজাহারনামীয় ও  তদন্তে প্রাপ্ত ০৪  জন আসামীকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন মোঃ সাগর(২২), পিতা-মোঃ সালাম প্রাং, সাং-চক মরিয়া, মোঃ রকি (২৪) পিতা- মোঃ জিন্নাত আলী প্রাং, সাং-মড়িয়া- গোলাবাড়ি, মোঃ জনি (২৩), পিতা-মোঃ নিলু প্রাং, সাং-মহিষাবান মধ্যপাড়া, মোঃ সাকিল (২৩), পিতা- মোঃ মুক্তি সরকার, সাং-মহিষাবান দহ পাড়া, সর্ব থানা-গাবতলী, জেলা-বগুড়া।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীগনের সহিত  নাহিদুল ইসলাম নয়ন এর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ ঝামেলা চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন নাহিদুল ইসলাম নয়ন গ্রেফতারকৃত আসামী সাগরকে মহিষাবান ত্রিমোহনী বাজারে মারধোর ও রক্তাক্ত জখম করে। সাগর মারধরের বিষয়টি রকিকে বলে এবং জনি ও শাকিল এর সাথে যোগাযোগ করে তারা ০৪ জন একত্রে হয়। 

পরবর্তীতে তারা বগুড়া সাতমাথা একত্রে হয়ে নাহিদুল ইসলাম নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে।  সিএনজি স্ট্যান্ডে সিনজি ভাড়া করে নাহিদুল ইসলাম নয়ন এর এলাকায় যায় এবং তাকে মারধরের জন্য গলির মধ্যে থেকে লাঠি ও এসএস পাইপ সংগ্রহ করে। আসামীগণ আগে থেকেই জানতো মহিষাবান ত্রিমোহনিতে নাহিদুল ইসলাম নয়নকে ঘটনাস্থলেই পাওয়া যাবে। সেই মোতাবেক তারা ঘটনাস্থল বগুড়া গাবতলী থানাধীন মহিষাবান ইউপির অন্তর্গত মহিষাবান দেবোত্তরপাড়া সোনারপাড়া গ্রামস্থ জনৈক মোছাঃ সিরি এর বাড়ীর পিছনে  নাহিদুল ইসলাম নয়নকে দেখতে পেয়ে  আরো অজ্ঞাত আসামীগণের সহিত যোগসাজসে কাঠের বাঠাম ও এসএস পাইপ দ্বারা এলোপাথারি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে   নাহিদুল ইসলাম নয়ন এর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয় এবং সি.এন.জি যোগে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল, বগুড়া’য় নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ ইং তারিখ অনুমান রাত্রী ৯.৩০ ঘটিকার সময় নাহিদুল ইসলাম নয়ন মৃত্যুবরন করেন। 

প্রকাশ থাকে যে, ঘটনার সহিত জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সাগর(২২), মোঃ রকি (২৪) , মোঃ জনি (২৩), মোঃ সাকিল (২৩) প্রত্যকেই সেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। 
উল্লেখ্য যে, পলাতক ও অজ্ঞাত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।


প্রজন্মনিউজ২৪/হাসিব
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ