নরসিংদীতে ঘাস চাষ করে লাভবান চাষিরা

প্রকাশিত: ০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ০৬:১২:৩৬

নরসিংদীতে ঘাস চাষ করে লাভবান চাষিরা

বাকি বিল্লাহ নরসিংদী প্রতিনিধিঃ সবজি চাষে সারাদেশে নরসিংদীর ব‍্যাপক সুনাম রয়েছে। এ অঞ্চলের চাষিরা এবার গোখাদ‍্যের হিসেবে ঘাস চাষ করে নিজেদের স্বাক্ষর রাখতে চায়। জেলার মনোহরদীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গোখাদ‍্য হিসেবে এ ঘাস চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। খুব সহজেই চাষ যায় এবং অল্প খরচে বেশী হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা ঘাস চাষে ঝুকছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে ঘাসচাষির সংখ্যা।

মনোহরদীর ঘাসচাষিদের উৎপাদিত ঘাস নিজেদের খামারের চাহিদা মিটিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ছাড়াও সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলার গরুর খামারিদের কাছে। এ অঞ্চলের চাষ করা ঘাসে ক‍্যালসিয়াম, পুষ্টিগুণ ও রুচিসম্মত বিদায় গরু-ছাগলদের সামনে দিতেই উপচে পড়ে আস্বাদন করেন। আর এ ঘাস খেয়ে গবাদিপশুর স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে, অন‍্যদিকে এর চাহিদা থাকায়  বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার ঘাসচষিরা।

মনোহরদীর চাষিদের উৎপাদিত ঘাসের ফলন বেশি ও পুষ্টিগুণ ভালো থাকায় খামার পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বছরের যে কোন সময় এসব ঘাস চাষ করা যায়। পানি জমে থাকেনা এমন জমিতে এসব জাতের ঘাস চাষ করা হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সাধারণ গোখাদ‍্য হিসেবে ব‍্যবহৃত এসব ঘাসের কাটিং বা চারা একবার রোপনের পরে ৪/৫    বছরের মধ‍্যে লাগানোর প্রয়োজন পড়েনা। চাষিরা তাদের রোপন করা ঘাসের চারা প্রতি ২/৩ মাস পর পর কাটিং করে তা গোখাদ‍্য হিসেবে খামারে ব‍্যবহার হয়। ঘাস কাটার সময়  

জমি থেকে  ২-৪ ইন্চি উঁচু করে  কাটতে হবে। যাতে এখান থেকে আবার শাখা বের হতে পারে। এসব ঘাস প্রতি একর জমিতে প্রায় ৬০/৭০ টন ঘাস উৎপাদন হয়।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে মনোহরদী উপজেলায় ১৮ একর জমিতে ঘাস চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ‍্যে  ১৪ একক জমিতে আবাদ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, সবকিছু ঠিক থাকলে ঘাসের আবাদের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ৭০ মে. টন ঘাস। এ অঞ্চলে নেপিয়ার, পাকচং-১, ইপিলিপিলসহ বিভিন্ন জাতের ঘাসের চাষ হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি চাষ হয় নেপিয়ার ও পাকচং-১ জাতের ঘাস।

জানা যায়, মনোহরদীতে বর্তমানে প্রায় ৫০ জন চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঘাস চাষ শুরু করেছেন। তা ছাড়া নিজেদের খামার অথবা বাড়িতে পালন করা গোখাদ্যের চাহিদা মেটাতেও ঘাস চাষ করছেন অনেকে। ইতোমধ‍্যে স্থানীয় লোকদের উদ্বুদ্ধ করতে উপজেলায় স্থায়ীভাবে একটি ঘাসের বাজার প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।

উৎপাদন খরচ কম  এবং  খামারিদের কাছ থেকে ভালো দাম পাওয়ার বানিজ্যিক ভাবেও  ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন মনোহরদীর চাষিরা। এই ঘাস চাষে ইতোমধ‍্যে স্বাবলম্বী হয়েছে এলাকার অনেক কৃষক।

উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের চর-নারান্দী গ্রামের চাষি সাইদুর রহমান বাকির বলেন, প্রথমে নিজের গরুর খাদ‍্য চাহিদা পূরণ করতে  অল্প পরিমাণ জমিতে আমি পাকচং-১ জাতের ঘাসের চারা রোপণ করি। পরবর্তী গোখাদ্য হিসেবে এই ঘাসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমি জমি ইজারা নিয়ে বাণিজ‍্যিকভাবে ঘাস চাষ শুরু করি। এ বছর আমি ৩ একরেরও বেশী জমিতে ঘাস চাষ করেছি।  নরসিংদীসহ  নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন জেলার খামারিরা এখান থেকে এসে ঘাস কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি জানান, প্রতি কেজি আস্ত ঘাস ৪-৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেন। আর সাইলেস করে (মেশিন দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে) বিক্রি করলে প্রতি কেজি ৭-৮ টাকায় বিক্রি হয়। খরচ বাদে প্রতি মাসে তার আয় হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার টাকা। শুধু তিনি নন ঘাস চাষ করে এ অঞ্চলের অনেকেই তার মতো মাসে আয় করছেন  হাজার হাজার টাকা বলে তিনি জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজ উদ্দিন ভূইয়া বলেন,  মনোহরদী অঞ্চলে উৎপাদিত এসব ঘাসে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও জিংক রয়েছে। এই ঘাস গাভির প্রজননক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং গাভিকে বন্ধ্যাত্ব থেকে বাঁচায়।


প্রজন্মনিউজ২৪/একে

এ সম্পর্কিত খবর

তীব্র গরমে ঢাকার বাতাসের কী খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ