ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া যুবতী মেয়েটি কে

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর, ২০২২ ১০:৩৭:৪২

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ফেলে যাওয়া যুবতী মেয়েটি কে

আব্দুর রহিম,ঝিনাইদহঃ কথাবার্তায় অসংলগ্ন ২০ বছর বয়সী যুবতী মেয়েটি নিজের নাম বলছেন লুনা খাতুন। বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাদারবাড়ি গ্রামে। তাকে শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে একটি প্রাইভেট কারে কে বা কারা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ফেলে রেখে যায়। এখন তিনি হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঝিনাইদহ ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের ইনচার্জ ছায়েরা খাতুন জানান, শনিবার বেলা ১২টার দিকে কথিত লুনা খাতুন নামে ওই যুবতি মেয়েকে জরুরী বিভাগ থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। মেয়েটি প্রথমে কথা বলতে না পারলেও এখন পারছে। কিন্তু তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতার ছাপ রয়েছে। মেয়েটির দাবী দুই বছর আগে তিনি তার দেবর রুহুল আমিন ও শাশুড়ি মেরিনা বেগমের সঙ্গে ঝিনাইদহে ঘুরতে আসেন

এখানে তার ননদ সুলতানা বেগম ভাড়া থাকেন। ননদের স্বামী মিজান একটি ওষুধ কোম্পানীতে চাকরী করেন। তিনি বলেন ঘুরতে বের হওয়ার পর একটি মেয়ে তাকে ইজিবাইকে করে অপহরণ করে ঝিনাইদহ শহরের একটি বাসায় আটকে রাখে। ঝিনাইদহের ওই বাসায় রেখে তাকে মারধর করা হতো। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। কেটে নেওয়া হয়েছে মাথার চুল। খাওয়ানো হতো ঘুমের বড়ি। নিয়মিত নির্যাতন ও ঘুমের বড়ি সেবনের ফলে তার মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে বলেও তিনি গনমাধ্যমকর্মীদের জানান।

তার দেয়া ভাষ্যমেত, এসএসসি পরীক্ষার আগে ২০১৯ সালে একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে জুলফিক্কার আল আমিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তার স্বামী ঢাকায় উবার চালান। লুনা পরিচয়দানকারী ওই যুবতী দাবী করেন তিনি মাদারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পাস করেন। তার পিতা রফিকুল ইসামের মুদির দোকানও মাদারবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে। তার মামা আব্দুল হান্নান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে দাবী করেন।

কি কারণে অপহরণ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তার স্বামীর সঙ্গে শারমিন তানিয়া ওরফে লাইজু নামে আরেক যুবতীর সম্পর্ক থাকায় তাদের চক্রান্তে তাকে অপহরণ করা হতে পারে বলে তিনি দাবী করেন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ফালগুনি রানী জানান, বেলা ১১টার দিকে মেয়েটিকে কে বা কারা জুরুরী বিভাগে ফেলে রেখে যায়। মেয়েটির কথাবার্তা অসংলগ্ন। তিনি সঠিক ভাবে কিছু বরতে পারছেন না। ঝিনাইদহ স্পেশাল ব্রাঞ্চের এএসআই আমিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে মেয়েটির তথ্য নিয়ে যাচাই বাছাই করছি। তার দেয়া তথ্য মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা পিরোজপুরের নাজিরপুর থানায় এ বিষয়ে কোন জিডি হয়েছে কিনা খোঁজ নিচ্ছি।


প্রজন্মনিউজ২৪/ইজা

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ