সাত বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর, ২০২১ ০৯:৪৭:২৬

সাত বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ

মহামারি করোনাভাইরাসের ধকল কাটিয়ে বিশ্ববাজারে বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জ্বালানি তেলের বাজার। দফায় দফায় দাম বেড়ে বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৮২ ডলারে উঠে এসেছে। এতে সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠলো তেলের দাম।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবণতা গত বছরের নভেম্বর থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে চলতি বছরের জুন থেকে তেলের দাম বৃদ্ধিতে নতুন হাওয়া লাগে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর গত জুনে করোনার প্রকোপের মধ্যে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৭৫ ডলারে উঠে আসে।

গত এক সপ্তাহে তেলের দামে বড় উত্থান হওয়ায় এখন অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল ৮২ ডলার স্পর্শ করেছে। এর মাধ্যমে সাত বছরের মধ্যে অপরিশোধিত তেল এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ও হান্টিং অয়েলও সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, অপরিশোধিত তেলের পাশাপাশি ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ও হান্টিং অয়েলের দাম ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বিগত এক মাসে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশের ওপরে। ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে ১২ শতাংশের ওপরে। আর হান্টিং অয়েলের দাম বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ শতাংশ।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম দশমিক ৯৭ ডলার বেড়ে ৮২ দশমিক ২৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ।

ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দশমিক ৯২ ডলার বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৪ দশমিক ৯২ ডলারে উঠে এসেছে। এতে এক সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম বেড়েছে ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ দশমিক ২২ শতাংশ।

অপরদিকে বিগত এক সপ্তাহে ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি গ্যালন হান্টিং অয়েলের দাম ২ দশমিক ৫৭ ডলারে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে মাসের ব্যবধানে হান্টিং অয়েলের দাম বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ ভয়াবহ রূপ নিলে গত বছরের ২০ এপ্রিল বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দরপতনের মধ্যে পড়ে তেল। সেদিন প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ঋণাত্মক ৩৭ ডলারের নিচে নেমে যায়।

রেকর্ড এই দরপতনের পরেই অবশ্য তেলের দাম বাড়তে থাকে। এতে রেকর্ড দরপতনের ধকল সামলে গত বছরের বেশিরভাগ সময় প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ ডলারে আশপাশে ঘুরপাক খাচ্ছিল।

কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নতুন করে বাড়া ও লিবিয়ার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাঝে বিশ্ববাজারে তেলের বড় দরপতন হয়। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে অপরিশোধিত ও ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমে যায়।

তবে এই পতনের ধকল কাটিয়ে গত বছরের নভেম্বর থেকে আবারও তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। অবশ্য প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম ৫০ ডলারের নিচে থেকেই ২০২০ সাল শেষ হয়।

চলতি বছরের শুরুতে তেলের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। কয়েক দফা দাম বেড়ে করোনার মধ্যে প্রথমবার ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম উঠে আসে ৬০ ডলারে। এর মাধ্যমে মহামারি শুরু হওয়ার আগের দামে ফিরে যায় তেল।

এদিকে, বিগত এক মাস তেলের দামে বড় উত্থান হওয়ার মাধ্যমে চলতি বছরে অপরিশোধিত তেলের দাম ৬৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ৬৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ও হান্টিং অয়েলের দাম ৭৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

এ সম্পর্কিত খবর

হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে কৃষকের জনজীবন

তীব্র গরমের মধ্যেই শিলাবৃষ্টির আভাস

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ