বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চুক্তির খসড়া অনুসমর্থন

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ০৫:১৭:০৫

বাংলাদেশ-তুরস্ক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চুক্তির খসড়া অনুসমর্থন

সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদানে চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তির নাম ‘এগ্রিমেন্ট অন কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল অ্যাসিস্টেন্স ইন কাস্টমস ম্যাটারস’।

গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন এই চুক্তি না হওয়ার ফলে আমাদের অনেকগুলো আইটেম তুরস্কে ঢুকতে পারছে না। তুরস্কে আমাদের রফতানি কমে গেছে। এটা যখন আমরা তাদের সাথে পয়েন্ট আউট করলাম, তারা চুক্তিটা সম্পূর্ণ করতে বলল। চুক্তিটা হলে আমরা আইটেম দেখে বুঝতে পারব কোন আইটেমগুলো আমাদের এখানে সাবস্টিটিউট আর কোন আইটেমগুলো কমপ্লিমেন্টারি।’

‘তুরস্কের যে কমপ্লিমেন্টারি আইটেম আসবে সেগুলোকে আমরা অনেক বেনিফিট দিয়ে দেব। সেক্ষেত্রে আবার হয়তো বেড়ে যাবে। যেগুলো সাবস্টিটিউট আইটেম সেগুলোতে আমরা খুব একটা সুবিধা দিতে পারব না।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘চুক্তি হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগটা সুসংহত হবে। আর পণ্যের অবৈধ বাণিজ্য ও চোরাচালান প্রতিরোধে এক দেশ আরেক দেশকে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারব। দুই দেশেরই অর্থনীতি, জনস্বার্থ ও অন্যান্য স্বার্থ কার্যকর হবে। কারণ যেগুলো আমাদের প্রয়োজন আমরা তুরস্ক থেকে আনতে পারব। তুরস্কেরও যেগুলো কমপ্লিমেন্টারি দরকার তারা প্রিফারেন্স দিয়ে নিতে পারবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তাই যতক্ষণ পর্যন্ত চুক্তি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সেই বেনিফিট পাব না। তুরস্কে গত ২/৩ বছরে আমাদের ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রফতানি কমে গেছে।’

প্রজন্মনিউজ২৪/ হোসাইন নূর

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ