করোনার চেয়ে ভয়ংকর মহামারীর নাম ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর, ২০২০ ০৬:৪৫:২১

করোনার চেয়ে ভয়ংকর মহামারীর নাম ধর্ষণ

ধর্ষণ হলো এক ধরনের যৌন আক্রমন । সাধারণত কোনো ব্যক্তি কতৃক অন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিরেকে তার সঙ্গে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়া কিংবা অন্যকোনোভাবে তার দেহে যৌন অনুপ্রবেশ ঘটানোকে ধর্ষণ বলা হয় ।

রোগ ব্যাধি প্রতিটি মানুষের শরীরের মধ্যে রয়েছে, কিছু কিছু রোগ হলে মানুষ সাময়িকভাবে দুশ্চিতায় পড়ে যায় । তেমনি একটি সংক্রামক ব্যাধির নাম করোনা ।কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে, করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর নতুন করে মনের মধ্যে কোনো কল্পনা-জল্পনা কাজ করে না । কিন্তু কোনো ব্যক্তি ধর্ষনের শিকার হলে সারাজীবন নিজেকে নিজের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ মনে হয় । সবসময় ঐ দুর্ঘটনাটির কথা মনে পরে, মনে হ্য় এ যেন এক বিষাদময় জীবন,যদিও ঘটনাটি অপ্রত্যাশিতভাবে হয়েছে । 

যে কোনো লিঙ্গ, বয়স, জাতি, সংস্কৃতি বা ধর্মের ব্যক্তি ধর্ষনের শিকার হতে পারে । ধর্ষণকে বেশ কয়েকটি ভাগ করা হয় । যেমন-গণধর্ষণ, শিশুধর্ষণ এবং যুদ্ধকালীন ধর্ষণ । দীর্ঘদিন ধরে কোনো রকম শারীরিক ক্ষতির শিকার না হয়ে কোনো ব্যক্তি ধর্ষনের শিকার হতে পারে । 

হঠাৎ করে ব্যাপক হারে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় সমাজের মধ্যে একটি উৎকন্ঠা তৈরি হচ্ছে । এমন কোনো দিন নেই যে, নারীরা ধর্ষনের শিকার হচ্ছে না । মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই সময়ে বেপরোয়া ধর্ষনের কারন হলো  ধর্মীয় ও সামাজিক অবক্ষয় ।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য মতে, গেল সেপ্টেম্বরে ৩৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে । এর মধ্যে ২০জন সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ ১২৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে ।এ ছাড়া তিন শিশুসহ ১০৯ জন ধর্ষনের শিকার হয়েছে এবং ১০ শিশুসহ ২০ জন সংঘবদ্ধ ধর্ষনের শিকার হয়েছে ।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক): আসকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে । গত বছর সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার ১ হাজার ৪১৩ নারী ও শিশু । ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ৭৩২।

কুইন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী হাওয়ার্ড বারবারে বলেছেন,বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধর্ষনে, ধর্ষকের আবেগ প্রবণতা এবং সুবিধাবাদিতা দেখা যায় । যারা আবেগপ্রবণতা থেকে ধর্ষন করে, তাদের মধ্যে ধর্ষণ করার সময় ধর্ষিতার প্রতিরোধের সময়,ক্রোধ প্রকাশ না করার প্রবণতা দেখা যায় এবং তারা খুবই অল্প বল প্রয়োগ করে বাধ্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটগুলো ধর্ষনের মত অপরাধকে উসকে দিচ্ছে । এই সাইটগুলো মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ এবং বিবেকবোধ শেষ করে দিচ্ছে।

সবার মধ্যে ই জৈবিক প্রবৃত্তি আছে । সেই প্রবৃত্তিকে আমাদের বিবেক নিয়ন্ত্রন করে ।কিন্তু যখনই কেউ ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে যাবে,তখনই বিবেকবোধ মরে যাবে । তখনই সে মানুষটি কী করছেন তা বুঝতে পারবেন না । যারা এই ঘৃন্য কাজ করবেন তাদের মনে হবে তারা উল্লাস করছেন । কিন্তু এটি এক ধরনের পশুবৃত্তি । আর এ ধরনের বৃত্তি সেই মানুষদের মধ্যেই জেগে ওঠে যারা নিজের বিবেকের নিয়ন্ত্রন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । সাধারণত বিবেকশক্তি থাকে না মাদকাসক্ত ব্যক্তি, দুর্বল ব্যক্তিত্ব ও হতাশাগ্রস্ত মানুষ এবং ক্ষমতার কারনে অহংকারী এদের মধ্যে  । আর এরা নারী দেখামাত্রই তাকে ‘ভোগ্যপন্য’ মনে করে।

লেখক : সাখাওয়াত আল হোসাইন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ