বাদশাহ বিপক্ষে, পক্ষে যুবরাজ

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৪:৪১:২৯

বাদশাহ বিপক্ষে, পক্ষে যুবরাজ

 

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমানের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনকে অনুসরণ করে সৌদি আরব ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ করবে কিনা তা নিয়েই বাপ-বেটার এই দ্বন্দ্ব।

বহুদিন ধরেই ইসরাইলকে স্বীকৃতি ও সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিপক্ষে বাদশাহ। কিন্তু পক্ষে ওকালতি করছেন ছেলে যুবরাজ মোহাম্মদ। এ নিয়ে রাজপরিবারের অভ্যন্তরেও চলছে জোর তর্ক-বিতর্ক। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ও দ্য গার্ডিয়ানের পৃথক দুই রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ফিলিস্তিনি জমি জবরদখল করে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ইসরাইলকে বহু বছর ধরেই বয়কট ও ফিলিস্তিনি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়ে আসছেন বাদশাহ সালমান। কিন্তু তলেতলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার জামাতা জারেড কুশনারের কানপড়ায় ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির সব বন্দোবস্ত করে ফেলেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ।

এখনও তিনি তার দাবির পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছেন। খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন যুবরাজ। কিন্তু তিনি বাদশাহকে বিষয়টি জানাননি।

পাছে বাদশাহ সম্পর্ক স্থাপনের প্রচেষ্টা বানচাল করে দেন। সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সম্প্রতি প্রথমবারের মতো আমিরাত সফর করে ইসরাইলের একটি প্রতিনিধি দল।

একই সময়ে ইসরাইলি বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা উন্মুক্ত ঘোষণা করে রিয়াদ। তখন থেকেই ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলছে। এরই মধ্যে বাদশাহ ও তার ছেলের মধ্যে এই ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা প্রকাশ্যে এলো।

এর আগে গত মাসেই সৌদি প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হলেই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে। আর জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করতে হবে। দ্য গার্ডিয়ান দাবি করেছে, ইয়েমেন যুদ্ধসহ বেশ কিছু বিষয়ে সৌদি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সৌদিতে প্রথম শ্রেণি থেকে ইংরেজি শেখানোর উদ্যোগ : সৌদি আরবের প্রাইমারি স্কুলগুলোতে প্রথমবারের মতো ইংরেজি ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। শিশুদের পাঠ্যক্রমে

আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে যুক্ত হচ্ছে ইংরেজি ভাষাসহ পাঁচটি কোর্স। এতে ইংরেজি ছাড়াও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে বিজ্ঞান ও গণিতকে। রোববার সৌদি শিক্ষামন্ত্রী হামাদ বিন মোহাম্মেদ আল-আশেইখ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে বিষয়টি জানান।

সৌদি শিক্ষামন্ত্রী হামাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কল্যাণে শিক্ষাক্রমে কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। যাতে দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মাধ্যমে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

‘উচ্চশিক্ষার জন্য সাধারণ শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। মাধ্যমিক শিক্ষায় উন্নয়ন না ঘটিয়ে কোনোভাবেই উচ্চশিক্ষায় উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয়’, বলেন তিনি।


প্রজন্মনিউজ/মেহেদী

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ