যশোরের শার্শায় পাত্রী দেখার নামে বাড়িতে প্রবেশ করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে প্রতারক চক্রের সদস্যরা। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে শার্শা উপজেলার সেতাই গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহাবুল ইসলামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা উত্তম কুমার মন্ডল।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার একজন লোক তার ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য শাহাবুল ইসলামের বাড়িতে তার মেয়েকে দেখতে আসেন। ওই ব্যক্তি নিজেকে “সেনা কর্মকর্তার পিতা” হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি শাহাবুলকে বলেন, “আপনার মেয়েকে পুত্রবধূ করতে চাই। মেয়েকে দেখেও খুব পছন্দ হয়েছে।” পরে তিনি ফোনে কথিত ছেলের মায়ের সঙ্গে কথা বলে ছেলেকে নিয়ে আসতে বলেন।

এদিকে মেয়ের বিয়ের পাত্রপক্ষের লোকজন আসছে ভেবে খাবারের আয়োজন করতে বাগআঁচড়া বাজারে চলে যান শাহাবুল। এদিকে বাড়ির অন্যরাও ঘর গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই সুযোগে ওই আগন্তুক ঘরের আলমারি থেকে নগদ ৮৪ হাজার টাকা, দু’টি সোনার চেইন, পাঁচ জোড়া কানের দুল, দুই জোড়া সোনার রুলি, একটি সোনার চুড়ি, তিনটি সোনার আংটি ও চারটি সোনার নাকফুল লুট করেন। পরে ছেলে ও ছেলের মাকে আনতে এগিয়ে যাচ্ছেন বলে কৌশলে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

ভুক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক শাহাবুল ইসলাম বলেন, “ডাক্তারির পাশাপাশি আমি বিকাশ এজেন্টের ব্যবসা করি। আমার বাড়িতে সবসময় নগদ টাকা থাকে। এটা গ্রামের সবাই জানে। অবশ্যই এই প্রতারককে এলাকার কেউ ঠিকানা দিয়ে পাঠিয়েছে এবং সেই ব্যক্তি এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে। আমি বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।”

এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা উত্তম কুমার মন্ডল, “এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”

প্রজন্মনিউজ/এম.এইচ.টি