প্রকাশিত: ২৭ জুলাই, ২০২০ ০১:৩৬:৫১
চামড়া ক্রয়ে ৬৮০ কোটি টাকা ঋণ দেবে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটিসহ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক। শুধু নিয়মিত গ্রাহকদেরই এই ঋণ দেয়া হবে। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক দেবে ৫৪০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে অগ্রণী ব্যাংক।
এছাড়া জনতা ব্যাংক ১০০ কোটি, সোনালী ব্যাংক ১০০ কোটি এবং রূপালী ব্যাংক ১৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৫০ কোটি, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ৭০ কোটি এবং সাউথইস্ট ব্যাংকের ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। এছাড়া পূবালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক কোরবানির চামড়া ক্রয়ে ঋণ দেবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামস উল ইসলাম বলেন, কোরবানির চামড়া ক্রয়ে গত বছরের মতো এবারও ১৮৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অনেকে যোগাযোগ করেছে। ভালো গ্রাহক দেখে ঋণ দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত পাঁচজন গ্রাহকের ১০৫ কোটি টাকার আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরও আসতে পারে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম কামাল হোসেন বলেন, চামড়া ক্রয়ে ঋণ নিতে একজন গ্রাহক যোগাযোগ করেছেন। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদন দিলে তাকে ২০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হবে। ভালো গ্রাহক, বাজারে তার সুনাম আছে।
পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল হালিম চৌধুরী বলেন, একজন গ্রাহক আছেন। তিনি নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করেন। তাকে প্রতি বছরের মতো এবারও চামড়া ক্রয়ে ঋণ দেয়া হবে। তার অতীত রেকর্ড খুবই ভালো। ঋণ বেশি নয়, এক থেকে দুই কোটি টাকা।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ভালো গ্রাহক পেলে কোরবানির চামড়া ক্রয়ে ঋণ দেব। অনেকে যোগাযোগ করছেন। ব্যাংক ঋণ দিতে প্রস্তুত।
ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া যুগান্তরকে বলেন, এবার কোরবানির চামড়া ক্রয়ে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভালো গ্রাহক এলে তাদের এ ঋণ দেয়া হবে।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) খন্দকার মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন গ্রাহক ৫০ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন করেছেন। তাদের আবেদন পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করা হবে। বোর্ড অনুমোদন দিলেই তারা ঋণ পাবেন।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আলম বলেন, একজন গ্রাহক আছেন। তিনি গত বছর এবং তার আগের বছর যে ঋণ নিয়েছেন সে ঋণের টাকা এখনও ফেরত দেননি। তাই এবার কাউকে ঋণ দেয়ার ইচ্ছা নেই। এছাড়া বিডিবিএল অন্যান্য বছর চামড়া ক্রয়ে ঋণ দিলেও এবার দেবে না বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত কোরবানির ঈদে ব্যাংকগুলো চামড়া ব্যবসায়ীদের যে ঋণ দিয়েছিল তার বড় অংশই আদায় হয়নি। আগের নেয়া ঋণও বিভিন্ন অজুহাতে ফেরত দিচ্ছেন না। এখন কোরবানি ঈদে আগের ঋণ শোধ না করেই বিভিন্ন দাবি জানাচ্ছেন তারা।
এরই মধ্যে এ খাতে আবারও ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নতুন ঋণ বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপরও খুশি নন চামড়া ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা দিলেও তা তেমন কাজে আসবে না। কারণ আগের ঋণের ২ শতাংশ এককালীন পরিশোধ করে পুনঃতফসিলের সামর্থ্য নেই অনেকের।
প্রজন্মনিউজ২৪/জহুরুল হক
এলাকার রেজান আলীর প্রতারণার ফাঁদে ফারুক মিয়া
বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এক মিনিটেই তাদের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ
হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ
চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ
যুদ্ধকে ‘না’ বলুন, সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন: প্রধানমন্ত্রী