‘ঈদে বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরি করা যাবে না’

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২০ ০৭:৫৭:৪৭

 ‘ঈদে বিনোদন কেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে ঘোরাঘুরি করা যাবে না’

এবার ঈদে বিনোদন কেন্দ্রে ঘোরাঘুরির অথবা দর্শনীয় স্থানে জমায়েত হওয়া যাবে না। বিনোদন কেন্দ্র বা দর্শনীয় স্থানগুলোতে ্যাবের নজরদারি থাকবে।

শুক্রবার র‌্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ঈদে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে র‌্যাবের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক এবার ঈদুল ফিতরে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন। এবার একেবারেই ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে আমরা পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি। যখন প্রায় প্রতিটা জেলা করোনা আক্রান্ত। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত। দেশবাসীকে অনুরোধ করব, ঈদের দিনে কেউ ঘোরাফেরার জন্য বাইরে বের হবেন না। আপনারা ঘরে থাকুন, আপনাদের জন্য আমরা আছি বাইরে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক বছর খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে থাকি। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা মতে মসজিদগুলোতে একটা নির্দিষ্ট সময় বিরতিতে একাধিক ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদের নামাজকে ঘিরে অন্যান্য পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের পাশাপাশি র‌্যাব নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অন্যবার ঈদের নামাজকে ঘিরে অল্প সময়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন হতো। কিন্তু এবার মসজিদে ঈদের নামাজ হওয়ার কারণে দীর্ঘসময় ধরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। সেজন্য মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে আসবেন, লাইন ধরে আসবেন, নামাজ শেষে একটা নির্ধারিত সময় গ্যাপ দিয়ে ঈদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা পরের নামাজে জামাতের আয়োজন করবেন।’

ঈদুল ফিতরের নামাজকে ঘিরে এবং এই করোনার মধ্যে উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী কিংবা জঙ্গিবাদী কোনও হুমকি বা হামলার ব্যাপারে শঙ্কা আছে কি-না জানতে চাইলে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে র‌্যাব তাদের দায়িত্ব পালনে পিছুপা হয়নি বরং চলমান যে প্রক্রিয়া সেটা আরও গতিশীল ও ত্বরান্বিত রেখেছে। করোনা সংকট র‌্যাবকে দমিয়ে রাখতে পারবে না। দেশ ও জনগণের পাশে থাকবে।’ কোনও সন্ত্রাসী, উগ্রবাদী কিংবা জঙ্গিগোষ্ঠীর অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে। সেজন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছে র‌্যাবের সাইবার টিম। র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘উস্কানি, নাশকতামূলক এবং জঙ্গি অপতৎপরতা বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি, চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

projonmonews24/maruf

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ