প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর, ২০১৯ ০৫:০৬:৪২
মহানবী (সাঃ) বলেন,যে দুজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়,তারপর তারা মোসাফাহা করে,তারা (সেই স্থান থেকে)পৃথক হওয়ার আগেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়(আবু দাউদ, হাদিস : ৫২১২)
ইসলাম জীবনের সব ক্ষেত্রের উৎকৃষ্ট জীবনপ্রণালী। আত্মকেন্দ্রিকতার পরিবর্তে এখানে সামাজিকতার মূল্য অনেক বেশি। ইসলামের যে বিধান রয়েছে, সেগুলোতে মানবতার কল্যাণই মুখ্য। ইসলামের বেশির ভাগ বিধি-বিধানে সাম্য ও সামাজিকতার চিত্র ফুটে ওঠে। সবাইকে সমাজবান্ধব হওয়ার জন্য ইসলাম কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়ে দিয়েছে। সমাজে থাকতে হলে অন্যের সঙ্গে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে দেখা করতে হয়। সে ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলো—
১. প্রথমে সালাম দেবে। সালাম পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা, আন্তরিকতা ও হৃদ্যতা সৃষ্টি করে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর ঈমানদার হতে পারবে না পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা তৈরি না হলে। আমি কি তোমাদের এমন একটি বিষয়ের কথা বলব, যা করলে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রসার ঘটাও।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ৫৪)
২. পরস্পর সালাম বিনিময়ের পর মোসাফাহা (হাত মেলানো) করবে। মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘যে দুজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়, এরপর তারা মোসাফাহা করে, তারা (সেই স্থান থেকে) পৃথক হওয়ার আগেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫২১২; তিরমিজি, হাদিস : ২৭২৭)
৩. বেগানা ও পরনারী-পরপুরুষের প্রতি দৃষ্টিপাত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে...।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৩০)
৪. বেগানা নারীর সঙ্গে নির্জনে বসবে না। মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যেন কোনো (বেগানা) নারীর সঙ্গে নির্জনে না বসে। কেননা শয়তান তাদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে যায়। (সে তাদের কুমন্ত্রণা দেয়)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২১৬৫)
৫. আগত ব্যক্তিকে অভিবাদন জানানো। হজরত আবু সাইদ খুদরি (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, মদিনার বনু কুরাইজার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) হজরত সাদ ইবনে মুয়াজ (রাঃ)-কে ডেকে পাঠান। সাদ (রাঃ) একটি গাধায় চড়ে আসেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁকে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নেতা সাদের দিকে দাঁড়িয়ে এগিয়ে যাও।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৭৬৮)
৬. আগত ব্যক্তির জন্য মাথা নত করা বা সিজদাবনত হওয়া যাবে না। এক ব্যক্তি মহানবী (সাঃ)-এর কাছে জিজ্ঞেস করে, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের কেউ যখন তার ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তখন কি মস্তক অবনত করবে? মহানবী (সাঃ) বললেন, ‘না, কিন্তু মোসাফাহা করবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৭০২)
৭. হাসিমুখে অন্যের সঙ্গে মিলিত হওয়া। মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা কোনো ভালো কাজকে ছোট মনে করবে না, যদিও তা অন্যের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাতের ব্যাপারেই হোক না কেন।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস : ২৬২৬)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘অন্যের জন্য তোমার মুখের হাসি সদকাস্বরূপ। তোমার সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ সদকাস্বরূপ। পথহারাকে পথ দেখিয়ে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। দৃষ্টিহীনকে পথ দেখানো তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। রাস্তা থেকে পাথর, কাঁটা ও হাড্ডি সরিয়ে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ। তোমার বালতি থেকে অন্যের বালতি ভরে দেওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৫৬)
মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।(আমিন)।
প্রজন্মনিউজ২৪/জাহিদ
হাবিপ্রবি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ
সরদার পাড়া দারুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার পরিক্ষার ফল প্রকাশ
৭ দাবিতে কুবি’র তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা
চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব
ইসরায়েল থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারের দাবিতে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চুয়েট, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ