৫০ বছর পেরিয়ে চন্দ্র বিজয়ের

প্রকাশিত: ২০ জুলাই, ২০১৯ ০৬:১৬:১৫

৫০ বছর পেরিয়ে চন্দ্র বিজয়ের

মানব সভ্যতার ইতিহাস বদলে দেওয়া চন্দ্রবিজয়, শনিবার (২০ জুলাই) চাঁদের বুকে মানুষের পায়ের ছাপ রেখে আসার ৫০ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৬৯ সালের আজকের এইদিনে স্যাটার্ন-৫ রকেটে করে তিনজন মহাকাশচারী অ্যাপোলো-১১ মিশন নিয়ে চাঁদে অবতরণ করেন।এরপর যদিও আরও অনেকগুলো সফল চন্দ্রাভিযান পরিচালিত হয়।

তবুও অ্যাপোলো-১১ এর সেই চিরস্মরণীয় অভিযানের ইতিহাস নির্মাণ আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক- ১৯ জুলাই ১৯৬৯ সালে সাধারণ সূচকে একটি দিন শুরু করে তিনজন নভোচারী হঠাৎ পিছনে ফিরে সবার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে মহকাশজানের ভেতর অদৃশ্য হয়ে যায়।সারা দুনিয়ার মানুষ টেলিভিশনে এই অভূতপূর্ব দৃশ্য সরাসরি দেখার সুযোগ পায়।

ঐদিন সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে ৭৬ লাখ পাউন্ড জ্বালানী ভরা নাসার স্যাটার্ন-৫ রকেটের রকেটের নিচের অংশ প্রজ্জ্বলিত হয় এবং মহাকাশের দিকে যাত্রা শুরু করে।চাঁদের মাটিতে পৌছাতে এই অভিযানের সময় লেগেছিল প্রায় চার দিন। ২০ জুলাই চাঁদের কক্ষপথে ঘুরে আসার পর এই উপগ্রহের মাটিতে পা রাখেন তিনজন মহাকাশচারী। প্রথমে মহকাশচারী নীল আর্মস্টং এরপরে এডুইন অলড্রিন।

সবশেষ নামেন পাইলট মাইকেল কলিন্স। ফেরার সময় নমুনা স্বরূপ একটি ব্যাগে ২১ কিলোগ্রাম চাঁদে মাট এবং পাথর নিয়ে এসেছিলেন তারা। পরে জানা যায় ব্যাগটি নাসা হারিয়ে ফেলেছে। ২০১৩ সালে পুনরায় সেটি খুঁজে পাওয়া যায়।৩৬৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি রকেটে করে উড়েছিল অ্যাপোলো-১১। এর ওজন ছিল ২,৩৯,৭২৫ কিলোগ্রাম। আর অ্যাপোলো-১১ এর ওজন ছিল ৪৫ হাজার ৭০২ কিলোগ্রাম।

যাওয়া আসা মিলিয়ে সম্পূর্ণ এই মিশনটি শেষ হতে প্রায় আট দিন তিন ঘন্টা আঠারো মিনিট।তবে এই চন্দ্র বিজয় অভিযান বিতর্কমুক্ত থাকতে পারে নি। সমালোচক এবং ষড়যন্ত্র তথ্যের উদ্ভাবকরা চন্দ্রবিজয়কে ভুয়া ও বানোয়াট আখ্যা দিয়েছেন। তবে যত বিতর্কই থাক না কেন শনিবার (২০ জুলাই) বিশ্বব্যাপী চন্দ্র বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি পালিত হবে।চাঁদে অভিযানের চেষ্টা এখনও থেমে নেই।

 এ বছরের প্রথম মাসেই চীনের মহাকাশযান চ্যাং ই-৪ চাঁদে অবতরন করেছিল। চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন (সিএনএসএ) দাবি করেছে, পৃথিবী থেকে চাঁদের যে পাশটি দেখা যায় না, সে পাশেই তাদের মহাকাশ যানটি অবতরণ করেছে।মহাকাশে আধিপত্য বিস্তারে উঠেপড়ে লেগেছে পরাশক্তিগুলো। চন্দ্রাভিযানের চেষ্টায় আছে ভারত। ভারতের চন্দ্রযান-২ চলতি সপ্তাহে মহাকাশে যাবার কথা থাকলেও কারিগরী ত্রুটির কারণে সেই চন্দ্রাভিযান আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

চাঁদে অবতরণের পর নীল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, একজন মানুষের জন্য এটি একটি ছোট পদক্ষেপ হলেও সমগ্র মানবতার ইতিহাসে এ এক বিশাল অগ্রযাত্রা। অ্যাপোলো-১১ কর্মসূচীতে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছে সে ব্যাপারে দ্বিমত করার সুযোগ নেই।কিন্তু তার কোন অর্থই অপচয় হয়নি। কারণ মানুষের জীবনে বৈজ্ঞানিক পথের নবযাত্রা শুরু হইয়েছিল আজকের এই দিন থেকেই।

প্রজন্মনিউজ২৪/রেজাউল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ