ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শুরু ২২ মে থেকে

প্রকাশিত: ১৬ মে, ২০১৯ ১১:৩৭:০৯

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় শুরু ২২ মে থেকে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ২২ মে থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিগত বছরগুলোয় দেখা গেছে, শুধু কমলাপুর স্টেশন থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকায় কাউন্টারের সামনে ২-৩ দিন দাঁড়িয়ে থাকার পর মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ কাক্সিক্ষত গন্তব্যের টিকিট সংগ্রহ করতে পেরেছেন।

এবার রাজধানীর পাঁচটি স্টেশন থেকে একযোগে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহের পাশাপাশি ‘রেলসেবা’ নামক একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে ৫০ শতাংশ টিকিট কাটার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। এর ফলে এবার ঈদযাত্রায় রেলযাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করা যায়।

ঈদের আগে যানবাহনের টিকিট কালোবাজারি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, তীব্র যানজট, ছিনতাই-ডাকাতি ও চাঁদাবাজি বৃদ্ধি, জাল নোট, সড়ক ও লঞ্চ দুর্ঘটনা বৃদ্ধি, শ্রমিক অসন্তোষ ও রাস্তা অবরোধসহ বিভিন্ন কারণে জনদুর্ভোগ চরমে ওঠে। ঈদের উৎসব-আনন্দ সামনে রেখে নাড়ির টানে প্রতি বছর ঘরমুখো হয় অসংখ্য মানুষ। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে কেউ সড়কপথে, কেউ রেলপথে, কেউ নৌপথে, আবার কেউ আকাশপথের যাত্রী হয়।

আসন্ন ঈদুল ফিতরেও এর ব্যতিক্রম কিছু ঘটবে না। বাড়ি ফেরার প্রথম ধাপ হল যানবাহনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করা। অতীতে দেখা গেছে, বাস টার্মিনালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি অসংখ্য যাত্রী। আর যারা টিকিট পেয়েছেন, তাদের চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। নৌপথেও দেখা গেছে একই চিত্র।

বেসরকারি লঞ্চের টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা শেষ হয়ে যাওয়ারও নজির রয়েছে। সরকারি নৌপরিবহন সংস্থা বিআইডব্লিউটিসিও এ অবস্থা থেকে মুক্ত নয়। যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বাংলাদেশ রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কালোবাজারিদের রুখতে ইতিপূর্বে নানা পদক্ষেপ নিলেও তা সফল হয়নি। যাত্রীদের আশঙ্কা, বিগত বছরের মতো এবারও বিপুলসংখ্যক টিকিট কালোবাজারে চলে যাবে।

দুর্ভাগ্যজনক যে, সড়কপথ, নৌপথ কিংবা রেলপথ- ঈদের আগে কোনো পথই সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক হয় না। নির্ঝঞ্ঝাট ও নিরাপদ ভ্রমণের প্রত্যাশা নিয়ে ঘরমুখো মানুষ বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কাক্সিক্ষত গন্তব্যের টিকিট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হবেন অথবা টিকিটের জন্য তাদের বাড়তি অর্থ গুনতে হবে- এটি মেনে নেয়া যায় না। মূলত অবৈধ পন্থায় অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের জন্য ঈদের আগে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মানুষকে উচ্চমূল্যে টিকিট কিনতে বাধ্য করে একটি চক্র।

দুর্মূল্যের বাজারে এমনিতেই সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। এ অবস্থায় কালোবাজারিদের কারসাজিতে মানুষ যদি টিকিটের পেছনে বাড়তি অর্থ দিতে বাধ্য হয়, তবে উৎসবের রঙ ফিকে হতে বাধ্য। ঈদের আগে এ ধরনের অনিয়ম ও অব্যবস্থা কঠোর হাতে দমন করা জরুরি। সাধারণ মানুষ যাতে এবার নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি যেতে পারে- সে লক্ষ্যে যা যা করা দরকার, সরকার তার সবকিছুই করবে, এটাই প্রত্যাশা।

প্রজন্মনিউজ২৪/ওসমান

 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ