রবি’র আলোয় প্রতিবন্ধিতাজয়ী শিশুরা জানালো নানা কথা

প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০১৬ ১২:২৯:৫৫

রবি’র আলোয় প্রতিবন্ধিতাজয়ী শিশুরা জানালো নানা কথা

মেয়েটি ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। সব শিশুর সাথে মিশতে পারে না, খেলতে পারে না, পারে না আনন্দে উদ্বেল হতে। এ রকম এক কষ্ট নিয়ে বেড়ে ওঠা সীমাকে নিয়ে তার পরিবারের স্বপ্নগুলো হারিয়ে যাচ্ছিল। মানুষের কটু কথা, খোটা শুনতে শুনতে এক সময় ক্লান্ত হতোদ্যম হয়ে পড়ে নিম্নবিত্ত পরিবারটি। বন্ধ হয়ে যায় সীমার স্কুলে যাওয়া।

কিন্তু রবির আলোয় আলোকিত সেই সীমা এখন হাঁটতে পারে, সবার সাথে মিশতে পারে, স্কুলে যেতে পারে। এ আনন্দে উদ্বেল সে ও তার পরিবার।
 
সীমার মতো এ রকম অনেক শিশু তাদের নিরাময়যোগ্য প্রতিবন্ধিতা থেকে মুক্তি পেতে শুরু করেছে। তাদের মধ্য থেকে চারজনকে  বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেক শো’র হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।

তারা এ সময় তাদের অনুভূতির কথা জানান। সীমা ছাড়াও এতে আসে চার বছরের লিখন, তার বাবা লক্ষ্মণ প্রমাণিক ও মা অষ্টমী রাণী। তার কষ্ট ছিল সে ঠিকমতো জুতা পরতে পারতো না। এখন সুস্থ লিখন নিজেই জুতা মোজা পরে ফিটফাট হতে পারে।
 
দু’বছরের নিতাই ও ৫ বছরের শাহাদাতও হাজির হয় ঢাকায়। নিতাই’র বাবা দিলীপ চন্দ্র রবি দাশ ও মা পুতুল রানী সন্তানের সুস্থতায় খুবই খুশি। শাহাদাতের বাবা টিটু কাজী ও মা শাকিলা বেগম খুশী তাদের সন্তান এখন  স্কুল যাচ্ছে।

তাদের সবাইকে দু’দিনের জন্য ঢাকায় আনা হয়েছিল মোবাইলফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেডের উদ্যোগে।

এ দু’দিনে তারা বসুন্ধরা শপিং মলে শপিং করেছে। বেড়িয়েছে গুলশানের ওয়ান্ডারল্যান্ডে।  রবি’র কর্পোরেট অফিসে এসেছে, পরিচিত হয়েছে রবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
    
মুগুর পা বা ক্লাব ফুট রোগে আক্রান্ত এসব শিশুর জন্য রবি আজিয়াটা লিমিটেড ইম্প্যাক্ট জীবন তরী ভাসমান হাসপাতালের সহায়তায় অস্ত্রপচার শুরু করে চলতি বছরের গোড়ার দিকে।

বিদেশি চিকিৎসকদের সহায়তায় এ পর্যন্ত ২০০ জন শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৬ থেকে ৮ মাস বয়সের শিশুদের মুগুর পা ঠিক করার জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টাই যথেষ্ট। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের দরকার পড়ে।
 
লেক শো’র হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিবন্ধিতাজয়ী এসব শিশুকে নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রবি’র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সিআরএল) মাহমুদুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট- (সিএসআর অ্যান্ড স্পন্সরশিপ) সেগুফতা ইয়াসমিন সামাদ, চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনাকারী সহযোগী সংস্থা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের ড. হাসিব মাহমুদসহ রবি ও ইমপেক্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এবং মুগুর পায়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া   কয়েকজন শিশুর বাবা মা।

রবি’র সেগুফতা ইয়াসমি সামাদ বলেন, ‘মুগুর পায়ের কারণে যেসব শিশু তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না, তাদের সুস্থ করে তোলার জন্য রবি এ উদ্যোগ নিয়েছে। রবি চায়, জয় করা যায় এমন প্রতিবন্ধিতার অভিশাপ থেকে দেশের গরিব মানুষের সন্তানরা যেন মুক্তি পায়। রবি তার কর্পোরেট সোস্যাল রেসপন্সিবিলিটির অধীনে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’

অনুভূতি জানাতে গিয়ে লিখনের মা অষ্টশী রাণী বলেন, বাচ্চার জন্য খুব খারাপ লাগতো। অনেকে বলেছে, মা কোনও পাপ করেছে। নইলে বাচ্চার পা উল্টো হবে কেন? আমরা কেবল কেঁদেছি। কোনও জবাব দিতে পারিনি।

শাহাদাতের মা শাকিলা বলেন, মানুষের কটু কথা শুনতে শুনতে আমরা খুবই ক্লান্ত। অমানুষদের ধারণা, মুগুর পায়ে প্রতিবন্ধী ছেলেকে কোলে নিলেও তাদের পরিবারেও প্রতিবন্ধী সন্তান হবে। তাই তারা আমার ছেলেকে কোলেও নিতো না। কত রাত আমি কেঁদে কাটিয়েছি। এখন আমার ছেলে সুস্থ। আমার খুব ভালো লাগছে।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১১

এ সম্পর্কিত খবর

প্রচণ্ড গরমে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করবে ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা

জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ অন্ধকার: কাজী ফিরোজ

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে সমস্যার সমাধান হবে না: আব্দুস সালাম

এক মিনিটেই তাদের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব ফেলতে পারেন

ঘোড়াঘাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাপমুক্ত আওয়ামী লীগ

পঞ্চগড়ে হিট স্ট্রোকে প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু

মৎস্য মন্ত্রী বলেন দুই ভাই হত্যার জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত



ব্রেকিং নিউজ