আগামী জাতীয় নির্বাচনের ভোট ২৩ ডিসেম্বর হবে নাকি পেছাবে, সেই সিদ্ধান্ত আজ সোমবার জানাবে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি এবং তার জোটের শরিকরা ভোটে আসার সিদ্ধান্ত নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে ভোট পেছানোর আবেদনও করেছে। আবেদন করেছে যুক্তফ্রন্টও।

রবিবার বিএনপি চিঠিতে তাদের পাশাপাশি ২০ দল, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের ভোটে আসার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়, ‘তড়িঘড়ি করে’ যে তফসিল ঘোষণা করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে সব দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা সম্ভব নয়।

গত ৮ নভেম্বর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটে অংশ নিতে হলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে। আর তফসিলের তিনদিন পর ভোটে আসার সিদ্ধান্ত নেয়া বিএনপি ও তার শরিকদের পক্ষ প্রার্থী বাছাইয়ে খুব বেশি সময় নেই।

আওয়ামী লীগ অবশ্য জানিয়েছে, ভোট পেছালে তাদের আপত্তি থাকবে না। আর সংবিধানে অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোট নেয়ার সুযোগ আছে।

যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, প্রত্যাহার ও ভোট এক সপ্তাহ পেছানোর সুপারিশ করেন। এতেও বলা হয়, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী স্বল্পসময়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রহণ, যাচাই-বাছাই, সাক্ষাৎকার নেয়া কঠিন হবে।

বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, ‘আমরা সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছিলাম। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।

তাদের কেউ কেউ নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে ইসিতে চিঠিও দিয়েছে। আমরা আগামীকাল (সোমবার) বসে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।বুধবারের মধ্যে সামগ্রী অপসারণ

আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক যারা নির্বাচনী প্রচারসামগ্রী টানিয়েছেন, সেগুলো বুধবারের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনায় প্রচার সামগ্রী লাগানো থাকলে তা সংশ্লিষ্ট মালিককে নিজ উদ্যাগে ও নিজ খরচে অপসারণ করতে হবে। অপসারণ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রজন্মনিউজ২৪/জামান