ঢাকা-পঞ্চগড় ট্রেন চলাচল শুরু

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর, ২০১৮ ১১:২৮:১৩

ঢাকা-পঞ্চগড় ট্রেন চলাচল শুরু

 দেশের সর্ব উত্তরের জেলা থেকে সরাসরি ঢাকা-পঞ্চগড় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো। এ নিয়ে পঞ্চগড়ে বইছে আনন্দের বন্যা। ট্রেন ষ্টেশনে হাজারো মানুষের ভিড়- যেন আনন্দঘন উৎসব পালন করছেন তারা।

দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, ও স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে। শনিবার সকাল ৭.টা ২০ মিনিটে দেশের দীর্ঘতম রেলপথের এই ষ্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় দ্রুতযান এক্সপ্রেস।রেলের পতাকা উড়িয়ে ঢাকা-পঞ্চগড় আন্তনগর ট্রেনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ।

এসময়  উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় ২ আসনের সাংসদ এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সূজন,  রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট প্রমুখ।

উদ্বোধনী ট্রেন দেখতে গতকাল রাত থেকে এলাকার সর্বকনিষ্ঠ শিশু থেকে শুরু করে বয়োজেষ্ঠরাসহ নানা পেশার নানা বয়সী মানুষ আসেন ষ্টেশনে। গতকাল রাতেই উদ্বোধনী ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেসের একটি কোচ এসে পৌছে ষ্টেশনে। আজ রাত ৯ টায় ছাড়বে একতা এক্সপ্রেস। এদিকে এখন থেকে প্রতিদিন ঢাকা থেকে দ্রুতযান ছাড়বে রাত আটটায় এবং একতা ছাড়বে সকাল দশটায়।

৯৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের আওতায় পার্বতীপুর থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে পঞ্চগড় পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটারের এ রেললাইনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। ঐ বছরের ৩১ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেল লাইনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে কাজের শুচনা করেন। রেললাইনের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে।

 ২০১৭ সালের ১৭ জুন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক দিনাজপুর পর্যন্ত একটি ইর্ন্টাসিটি শাটল ট্রেন উদ্বোধন করেন। পরে এই নিয়ে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো আন্দোলন শুরু করে। তারা সরাসরি ঢাকা-পঞ্চগড় ট্রেন চলাচলের দাবি করে।

এ বছরের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁওয়ের এক জনসভায় এ জাতীয় দাবি সংবলিত ব্যানার দেখতে পেয়ে তার বক্তব্যে বলেন, ব্যানার নামিয়ে ফেলুন পঞ্চগড় ট্রেন যাবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতি আজ সকালে বাস্তবায়নের ফলে সকল শ্রেণীপেশার মানুষ আনন্দিত।

 উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত সচিব বলেন, এই ট্রেন লাইনকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে সমীক্ষা হবে। তারপরেই কাজ শুরু হবে। এই বন্দর দিয়ে আশেপাশের দেশগুলোর সাথেও রেল যোগাযোগের চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পঞ্চগড় রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রার এই শুভক্ষণটির জন্য নানা আয়োজনে করেছে পঞ্চগড়বাসী। এ উপলক্ষ্যে ভোর সাড়ে ছয়টা রেলস্টেশনে সাধারণ মানুষ আসতে থাকে।

প্রজন্মনিউজ/সোহেল সানি

 

 

 

এ সম্পর্কিত খবর

কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা, সেনা অভিযানে একজন নিহত

বাংলাদেশের চিকিৎসাসেবায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি

এক মিনিটেই তাদের বিসিএসের স্বপ্নভঙ্গ

উপজেলা নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রীরা প্রভাব ফেলতে পারেন

ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন

পার্বতীপুরে তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ইস্তেস্কার নামাজ আদায়

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে বাঁচবে হাজারও কোটি টাকার সম্পদ

চলতি বছর পবিত্র হজ্জ পালনের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে সৌদি আরব

রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ