ভাস্কর্য ইস্যুতে আবার সক্রিয় হচ্ছে হেফাজত

প্রকাশিত: ২৮ মে, ২০১৭ ০১:৪২:০১

ভাস্কর্য ইস্যুতে আবার সক্রিয় হচ্ছে হেফাজত

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের সামনে থেকে এনেক্স ভবনের সামনে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন করায় নাখোশ এই ভাস্কর্য অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামা ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে নতুন দাবি বা কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছে। সংগঠনের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেছেন, ভাস্কর্য এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় স্থাপন করায় তাদের আপত্তির জায়গাটা রয়েই গেছে।

গত ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের সামনের ফোয়ারায় স্থাপন করা হয় ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়া ভাস্কর্যটি। এটি স্থাপনের পর থেকেই ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এটি অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের দাবি এটি একটি মূর্তি এবং মূর্তিপূজা ইসলামে নিষিদ্ধ। রোজার আগে এটি অপসারণ না হলে ২০১৩ সালের ৫ মের মত শাপলা চত্বর কাণ্ড আবার ঘটানোর হুমকিও দিয়ে রেখেছিল সংগঠনটি।

গ্রিক দেবী জাস্টিসিয়ার আদলে এই ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রচার পেলেও গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সেটি অপসারণের পর এর নির্মাতা মৃণাল হক জানিয়েছেন, এটা গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য নয়। সেদিনই এটিকে সরিয়ে এনেক্স ভবনের পাশে গিয়ে রাখা হয়। দুই রাতের মধ্যেই ভাস্কর্যটি এনেক্স ভবনের সামনে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সেটি করা হয় শনিবার দিবাগত গভীর রাতে। হেফাহতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটা করা উচিত হয়নি। যে কারণে এখান থেকে এটি সরানো হয়েছে, একই কারণ বিদ্যমান। আমরা বলে আসছি, মুসলিম সংস্কৃতিতে মূর্তি পূজার প্রচলন নাই। নেজামী বলেন, ‘সংঘাতটা শেষ হয়ে গিয়েছিল, সেটা জিইয়ে রাখা হলো এখন’।

তাহলে আপনারা কী করতে যাচ্ছেন-এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে তারা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এরপরই অবস্থান জানানো হবে। এই ভাস্কর্যকে মূর্তি কেন বলছেন-জানতে চাইলে নেজামী বলেন, ভাস্কর্য আর মূর্তি একই। যে কোনো জীব জন্তু বা প্রাণীর মূর্তি স্থাপন ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে। ভাস্কর্য বলে মূর্তি স্থাপন করা আমরা মানবো না।

ইসলাম এসেছে মূর্তির বিরুদ্ধে। কাবা শরিফে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। সেগুলো কি আছে এখন? মহানবী (সা.) নিজে কোনো মূর্তি অপসারণ বা ভেঙেছেন কি?- জানতে চাইলে নেজামী বলেন, ‘স্ব স্ব গোত্র সেগুলো নিয়ে গিয়েছিল। আমরাও বলছি, এই মূর্তি যার ভাল লাগুক নিয়ে গিয়ে বাসায় রাখুক, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু এটা সুপ্রিম কোর্টের কোথাও রাখা যাবে না।’

নেজামী দাবি করেন, ভাস্কর্যের সংস্কৃতি ইসলামের কোথাও নেই বলেও দাবি করেন নেজামী। সৌদি আরবে, দুবাইয়ে, ইরানের সুপ্রিম কোর্টের সামনে এমনকি তুরস্ক ও তিউনিশিয়ায় মসজিদের সামনে ভাস্কর্য থাকার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এই হেফাজত নেতা বলেন, ‘সৌদি আরবে যদি থাকে, তাহলেই সেটা জায়েজ হয়ে যায় না।

ইরানে বা যে কোনো দেশে ভাস্কর্য রাখুক বলে আমাদের এখানেও কেন থাকতে হবে। হেফাজত নেতা বলেন, ‘মুসলিম খেলাফত যতদিন ছিল, ততদিন তুরস্কে ভাস্কর্য ছিল না। পরে কামলা আতাতুর্ক এসে সেগুলো স্থাপন করেছেন। আর একটা দেশে হলেই যে জায়েজ হয়ে যাবে-এমন কোনো কারণ নেই।

প্রজন্মনিউজ২৪/মাহমুদুল

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: Undefined index: category

Filename: blog/details.php

Line Number: 417

Backtrace:

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/blog/details.php
Line: 417
Function: _error_handler

File: /home/projonmonews24/public_html/application/views/template.php
Line: 199
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/application/controllers/Article.php
Line: 87
Function: view

File: /home/projonmonews24/public_html/index.php
Line: 315
Function: require_once

বিভাগের সর্বাধিক পঠিত



ব্রেকিং নিউজ