কাগজে-কলমে রাস্তার কাজ শেষ হলেও বাস্তবতা ভিন্ন খুলনায়

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১৩:১৬

কাগজে-কলমে রাস্তার কাজ শেষ হলেও বাস্তবতা ভিন্ন খুলনায়

খুলনা নগরীর শেরেবাংলা সড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর। সড়ক বিভাগের নথিতে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হওয়ার তথ্য উল্লেখ রয়েছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন । কাগজ কলমে কাজ শেষ হলেও বাস্তবে চলছে। মূল সড়কের কাজ শেষ হলেও দুই পাশে ড্রেন ও স্ল্যাবের অনেক কাজ এখনও চলছে। ফুটপাতের পার্কিং টাইলস লাগানো হয়নি বেশ কয়েকটি স্থানে। দ্রুত কাজ শেষ করতে কংক্রিটের ঢালাইয়ের মূল উপাদান কিউরিং (ঢালাই পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা) করা হচ্ছে না কোথাও। কোনো রকম ঢালাই দিয়ে পার্কিং টাইলস বসানো হচ্ছে। এতে কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বর (ময়লাপোতা মোড়) থেকে গল্লামারী হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল। সড়ক বিভাগের কাগজ-কলমে প্রকল্পের নাম ‘খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশে (৪ কিলোমিটার) ৪ লেনে উন্নীতকরণ।’। সড়কটি শেরে বাংলা সড়ক নামেই নগরবাসীর কাছে পরিচিত।সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর পর এক দফা প্রকল্প সংশোধন এবং এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অনেক কাজই শেষ হয়নি। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জবাবদিহির চাপে গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ দেখানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, শুরুতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদারের সঙ্গে ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার চুক্তি করে সড়ক বিভাগ। পরে সেটি বাড়িয়ে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা করা হয়। প্রায় ১৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হলেও ড্রেনের দৈর্ঘ্য কমেছে। শুরুতে প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুই পাশে আট কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও, পরে সেটি সংশোধন করা হয়। বর্তমানে দুই পাশে ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, মূল সড়কের কাজ শেষ হয়েছে আগেই। কিন্তু দুই পাশে ড্রেন, ড্রেনের ওপর স্ল্যাব ও ফুটপাতের অনেক কাজ বাকি। সড়কের হাজিবাড়িসহ কয়েকটি স্থানে ড্রেন নির্মাণ করা যায়নি। নিরালা মোড় থেকে সিটি কলেজ ছাত্রাবাসের কাছে ড্রেনের স্ল্যাব ও ফুটপাতের কাজ এখনও হয়নি। তাবলিগ মসজিদের সামনে এবং এসওএস স্কুলের সামনে ফুটপাতে কাজ বাকি রয়েছে। নিরালা মোড়ের কাছে ড্রেনের ওপর স্ল্যাব নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্রুত প্রকল্প শেষ করতে গিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সড়ক বিভাগের তদারকিও কম।তবে খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ   বলেন, প্রকল্পের সব কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সামান্য যে কাজ বাকি ছিল, সেগুলোও এ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। কাজের মান নিয়ে আপস করা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, হাজিবাড়ির সামনে জমি পাওয়া যায়নি। তাদের আরেক আত্মীয় বাড়ির সামনে ড্রেন তৈরি করতে দেননি। এ জন্য কয়েকটি স্থানে ড্রেন নির্মাণ করা যায়নি। বাকি স্থানে পুরোনো ড্রেনের সঙ্গে নতুন ড্রেনের সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হবে না।

খুলনা নগরীর শেরেবাংলা সড়ক চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত ৩১ ডিসেম্বর। সড়ক বিভাগের নথিতে প্রকল্পের সব কাজ শেষ হওয়ার তথ্য উল্লেখ রয়েছে। তবে বাস্তবতা ভিন্ন । কাগজ কলমে কাজ শেষ হলেও বাস্তবে চলছে। মূল সড়কের কাজ শেষ হলেও দুই পাশে ড্রেন ও স্ল্যাবের অনেক কাজ এখনও চলছে। ফুটপাতের পার্কিং টাইলস লাগানো হয়নি বেশ কয়েকটি স্থানে। দ্রুত কাজ শেষ করতে কংক্রিটের ঢালাইয়ের মূল উপাদান কিউরিং (ঢালাই পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখা) করা হচ্ছে না কোথাও। কোনো রকম ঢালাই দিয়ে পার্কিং টাইলস বসানো হচ্ছে। এতে কাজের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্বর (ময়লাপোতা মোড়) থেকে গল্লামারী হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল। সড়ক বিভাগের কাগজ-কলমে প্রকল্পের নাম ‘খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের খুলনা শহরাংশে (৪ কিলোমিটার) ৪ লেনে উন্নীতকরণ।’। সড়কটি শেরে বাংলা সড়ক নামেই নগরবাসীর কাছে পরিচিত।সড়ক বিভাগ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর পর এক দফা প্রকল্প সংশোধন এবং এক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্প শেষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে অনেক কাজই শেষ হয়নি। তারপরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জবাবদিহির চাপে গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ দেখানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, শুরুতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহবুব ব্রাদারের সঙ্গে ৮০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার চুক্তি করে সড়ক বিভাগ। পরে সেটি বাড়িয়ে ৯৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা করা হয়। প্রায় ১৬ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হলেও ড্রেনের দৈর্ঘ্য কমেছে। শুরুতে প্রকল্পের আওতায় সড়কের দুই পাশে আট কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণের কথা থাকলেও, পরে সেটি সংশোধন করা হয়। বর্তমানে দুই পাশে ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে।

গতকাল সোমবার সরেজমিন দেখা গেছে, মূল সড়কের কাজ শেষ হয়েছে আগেই। কিন্তু দুই পাশে ড্রেন, ড্রেনের ওপর স্ল্যাব ও ফুটপাতের অনেক কাজ বাকি। সড়কের হাজিবাড়িসহ কয়েকটি স্থানে ড্রেন নির্মাণ করা যায়নি। নিরালা মোড় থেকে সিটি কলেজ ছাত্রাবাসের কাছে ড্রেনের স্ল্যাব ও ফুটপাতের কাজ এখনও হয়নি। তাবলিগ মসজিদের সামনে এবং এসওএস স্কুলের সামনে ফুটপাতে কাজ বাকি রয়েছে। নিরালা মোড়ের কাছে ড্রেনের ওপর স্ল্যাব নির্মাণের কাজ করছেন শ্রমিকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্রুত প্রকল্প শেষ করতে গিয়ে যেনতেনভাবে কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সড়ক বিভাগের তদারকিও কম।তবে খুলনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ   বলেন, প্রকল্পের সব কাজ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। সামান্য যে কাজ বাকি ছিল, সেগুলোও এ মাসের মধ্যে হয়ে যাবে। কাজের মান নিয়ে আপস করা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, হাজিবাড়ির সামনে জমি পাওয়া যায়নি। তাদের আরেক আত্মীয় বাড়ির সামনে ড্রেন তৈরি করতে দেননি। এ জন্য কয়েকটি স্থানে ড্রেন নির্মাণ করা যায়নি। বাকি স্থানে পুরোনো ড্রেনের সঙ্গে নতুন ড্রেনের সংযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশনে সমস্যা হবে না।

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ