পিরোজপুরে ভাসমান বাজারে প্রতি হাটে দেড় কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:৪৭:০৮

পিরোজপুরে ভাসমান বাজারে প্রতি হাটে দেড় কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি

পিরোজপুর প্রতিনিধি: ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নদীর বুকে বসে হাট। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজার সংলগ্ন বেলুয়া নদীতে সপ্তাহের শনিবার ও মঙ্গলবার বসে এই ভাসমান হাট।

নাজিরপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বেলুয়া নদী। বৈঠাকাটা বাজার ও বেলুয়া মুগারঝোর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এই নদী। এই নদীতে প্রায় ৬৬বছর ধরে ভাসমান তরমুজের হাট বসে। মার্চ থেকে শুরু করে এপ্রিল পর্য়ন্ত চলে বেচাকেনা। প্রতি হাটে বিক্রি দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। ঢাকা, খুলনা, যশোর, নরসিংদী, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় ব্যবসায়ী এই হাটে তরমুজ কিনতে আসেন। স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাঁদের কাছে তরমুজ বিক্রি করে ভালো দাম পান।

গত শনিবার (০৬ এপ্রিল) সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বেলুয়া নদীতে ভাসমান বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০-৫০টি ট্রলার বোঝাই করে হাটে তরমুজ নিয়ে  এসেছে ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা ট্রলারে উঠে দরদাম করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাকে সরব তরমুজের হাট। দামে  বনিবনা হলে ট্রলার থেকে তরমুজ কিনে আরেক ট্রলারে তোলা হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও ট্রলার থেকে তরমুজ কিনে  ছোট নৌকায় তুলছেন। অনেক ব্যবসায়ী ট্রলার থেকে তরমুজ কিনে পাশের বৈঠাকাটা বাজারে রাখা ট্রাকে বোঝাই করছেন। 

খেত কিনে পাইকারী ধরে ভাসমান বাজারে তরমুজ বিক্রি করতে আসা রবিউল তালুকদার বলেন, উপকূলীয় জেলাগুলোর চরাঞ্চলে প্রচুর তরমুজ আবাদ হচ্ছে। আমরা খেত হিসেবে তরমুজ কিনি। প্রতি বিঘা খেতের দাম পড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। এরপর খেত থেকে তরমুজ কেটে আকারভেদে পাইকারী বাজারে বিক্রি করি । পাইকারি বাজারে শত (১০০টি) হিসেবে তরমুজ বিক্রি হয়।

বৈঠাকাটা বাজারের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভোলার চরফ্যাশন, পটুয়াখালী, বরগুনার বিভিন্ন চরে আবাদ করা তরমুজের খেত কেনেন ব্যবসায়ীরা। এরপর খেত থেকে পাকা তরমুজ ট্রলারে করে বৈঠাকাটাসহ বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করা হয়। বড় আকারের ১০০টি তরমুজের পাইকারি মূল্য ২২ হাজার থেকে ২৫ হাজার। মাঝারি আকারের তরমুজ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। ছোট তরমুজ আকার ভেদে ৫ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। হাট থেকে তরমুজ স্থানীয়  ফল ব্যবসায়ী ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বড় ব্যবসায়ীরা কিনে নেন। 

এই হাট থেকে নিয়মিত তরমুজ কিনে নিয়ে যান উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মো.আজিজুল শেখ । তিনি জানান, প্রতি হাটে দেড় থেকে ২ কোটি টাকার তরমুজ কেনাবেচা হয় এখানে।

বৈঠাকাটা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা তালুকদার বলেন, বাজারটি একশত বছরের পুরানো। এ বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে কাচাঁমাল ট্রালারযোগে আসে ট্রলারেই হাট বসে। প্রতি বছরের নেয় এবারও তরমুজের বাজার জমজমাট।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসনত ডালিম জানান, ভাসমান সবজি চাষে বিখ্যাতের পাশাপাশি ভাসমান বাজারও এখানে অনেক সুনাম অর্জন করেছে। নৌপথে পণ্য পরিবহন সহজ হওয়ায় এবং খরচের পরিমান কমে যাওয়ায় ঐতহ্যবাহী এই ভাসমান বাজারটি ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে পছেন্দের। 


প্রজন্মনিউজ২৪/এইচআরসি

এ সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এপ্রিল ২০২৪ এইচআরএসএস এর মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন।

খালে ভাসছে বাঘের দেহ! 

সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের অভিযোগ

ধুনটে সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নসেবার কমিটি গঠন 

শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানালেন জয়নুল আবদিন ফারুক

ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাবার পানি, স্যালাইন এবং গামছা বিতরণ অনুষ্ঠিত

সময় তিন অক্ষরের এক ছোট নাম কত মূল্যবান

সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা

সিলেট নগরীর সুরমা টাওয়ার থেকে পড়ে সিসিকের এক কর্মচারির মৃত্যু

পিরোজপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ইঞ্জিনিয়ার নিহত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ