গানে আসার পিছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে মা

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৪:৪৭

গানে আসার পিছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে মা

বেরোবি প্রতিনিধি: তরুণ সমাজের মাঝে বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে। তারা যেন নিজেদের সংস্কৃতিকে ভুলে না গিয়ে সেটাকে ধরে রাখে এবং যথাপোযুক্ত চর্চা করে সে কারণে,টঙের গান প্রতিষ্ঠা করেছি।টঙের গান'মূলত একটি লোকসংগীত দল। লোকজ সংস্কৃতি লালনের মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক এবং সম্প্রীতিময় দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি।আর গানে আসার পিছনে অনুপ্রেরণা পেয়েছি আমার মার কাছে।

টঙের গানের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদুল হাসান আবিরের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। আবির রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পড়াশোনা করেন।লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পূর্ন করেছেন। তার বাড়ি রংপুরের পীড়গঞ্জে।

আবির বলেন, মায়ের কাছ থেকেই আমার গানের হাতেখড়ি। আমার গানের গুরু মতিনুর রহমান স্যার, লেবু আন্টি। উৎসাহ পেয়েছি আয়ুব ভাই, নিমু ভাই, সাজু ভাই এবং এর বাইরে অনেক মানুষকে কাছে থেকে পাশে পেয়েছি। বাংলাদেশের লোক সংগীতকে ধারক ও বাহক হিসেবে মানুষ যেন গ্রহণ করে এ জন্য পুরো দেশব্যপী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে টঙের গান। 


তরুন সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বিদেশি সংস্কৃতির একটা প্রভাব বিস্তার লক্ষ্য করেছি। সেটা কমিয়ে আনতে এবং তরুণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এই সংগঠনের মাধ্যমে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। 

সাইবার সিকিউরিটি, জেন্ডার সমতা,জলবায়ু ইস্যু নিয়ে কাজ করছি। সেইসাথে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ) সচেতনতা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর উপর সেশন নিয়ে থাকি। দেশীয় সংস্কৃতিকে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই। বিশ্বের মানুষ যেন এই লোকসংগীত এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে।

অতি অল্প সময়ে টঙের গান নিজস্ব ক্যাম্পাস ছাড়াও ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানে নিজেদের সেরাটা দিয়ে জনপ্রিয়তা কুড়াচ্ছে এবং খুব অল্প দিনেই বেড়ে উঠে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে।

যথেষ্ট বাদ্যযন্ত্র নেই, অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন একাডেমিক ভবনের নিচেই চলে প্রতিদিনের অনুশীলন পর্ব। পরীক্ষা বা অন্য কোনো কারণে বন্ধ রাখতে হয় অনুশীলন।


নির্দিষ্ট কোনো স্থানে বসার জায়গা না থাকায় কখনো  ক্যাফেটেরিয়া মঞ্চের এক কোণে, হল কিংবা মাঠের শিশুগাছতলায়, একাডেমিক ভবনের সিঁড়িতে কিংবা ক্যাম্পাসের ছোটখাটো অনুষ্ঠানগুলোতে গান করতে করতেই গড়ে ওঠে 'টঙের গান'। অল্পদিনেই সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে আমাদের গান। গানের মাধ্যমে সম্প্রীতি ছড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা, সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ।২০২২ সালে ডিজিটাল খিচুড়ি চ্যালেঞ্জে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয়। এরপর  ২০২৩ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড টঙের গানের প্রতিষ্ঠাতা আবিরের হাতে তুলে দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। 

আবিরের এই সাফল্য সম্পর্কে কথা বলেছেন তারই  বিভাগের সরাসরি শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, কলি থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত আবিরের একটু একটু করে বেড়ে উঠা আমি দেখেছি। নিজ পরিশ্রমে তিলে তিলে নিজেকে গড়েছে সে। ভবিষ্যতে ছেলেটা বৃহৎ পরিসরে নিজেকে বিকশিত করবে এই প্রার্থনা করি।


প্রজন্মনিউজ২৪/আরা
 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন





ব্রেকিং নিউজ