প্রকাশিত: ০৪ মার্চ, ২০২৪ ০২:১৯:২৩ || পরিবর্তিত: ০৪ মার্চ, ২০২৪ ০২:১৯:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) কাছে কল করে ছয় বছর বয়সী শিশু হিন্দ রজব জ্বলন্ত গাড়িতে আটকে পড়ায় জানিয়েছিলেন বাঁচার আকুতি। শিশুটি বলেছিল, ‘আমি খুব ভয় পাচ্ছি। দয়া করে তোমরা আসো।’ ফোনের লাইন কাটার পর সেখান থেকে শুধু গুলির শব্দ হচ্ছিল। ১২ দিন পর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় হিন্দের মরদেহ।
হিন্দের ওই ফোনকলটি তিন ঘন্টা ধরে চলছিল। ফোনকলটির রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে সারাবিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেখান থেকে জানা যায়, শেষ সময় হিন্দ ও তার স্বজনদের সাথে যা ঘটেছিল। চাচা-চাচি আর হিন চাচাতো ভাই বোনদের সাথে গাজা সিটি থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী তাল আল-হাওয়া যাচ্ছিল ছয় বছরের হিন্দ রজব। হঠাৎ তাদের গাড়িটির পথরোধ করে ইসরায়েলি ট্যাংক। এরপরই ইসরায়েলি সৈন্যরা তাদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে ভাগ্যক্রমে সেখান থেকে বেঁচে যায় হিন্দ এবং মারা যাওয়া অন্যদের মাঝেই সে আটকা পড়ে যায়। মুঠোফোনে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কাছে হিন্দের আকুতির পর তারা হিন্দ কে উদ্ধার করার জন্য বারবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। প্রায় তিনঘন্টা পরে ইসরায়েলী বাহিনী পিআরসিএস কে অনুমতি দেন।
অনুমতি সাপেক্ষে শিশু হিন্দকে উদ্ধারের জন্য পিআরসিএস অ্যাম্বুলেন্স সহ দুইজন কে ঘটনাস্থলে পাঠান। কিন্তু ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে মেডিকেল দলকে নিজেদের লক্ষ্যে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক আইনলঙ্ঘন করে ইসরায়েল হিন্দ ও তার চাচাতো ভাইবোনদের কে প্রথমে আক্রমন করে এবং তারপর ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া হিন্দকে উদ্ধারের জন্য পাঠানো অ্যাম্বুলেন্স টিমের দুই সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলী বাহিনী।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলী কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, গত ২৯ জানুয়ারি গাজা সিটির পার্শ্ববর্তী তাল আল-হাওয়া যখন হিন্দ ও তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়, তখন সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না। অথচ ইসরায়েলের এই বিবৃতি হচ্ছে হিন্দ ও পিআরসিএসের ফোনালাপের পুরোপুরি বিপরীত।
আল- জাজিরা এ সংক্রান্ত একটি অনুসন্ধান করেন। এবং অনুসন্ধানে দেখা যায়, হিন্দের সেই গাড়িটির কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর উপস্থিতি ছিল, তা প্রমান করতে ফোন রেকর্ড ও স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছেন আল জাজিরা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২৯ জানুয়ারি দুপুরের পরপর তাল আল-হাওয়ায় একটি পেট্রল ষ্টেশনের সামনে ওই গাড়িটিকে থামায় ইসরায়েলি সেনা সদস্যরা।
তাছাড়া হিন্দ যখন প্রথম পিআরসিএসকে কল দিয়েছিল তখনও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। সেখানে বারবার শোনা যাচ্ছিল হিন্দের কন্ঠে ইসরায়েলী ট্যাংকের কথা।
উদ্ধারকারীরা ১০ ফেব্রুয়ারি যখন হিন্দ ও তার পরিবারের সদস্যদের মরদেহ পায়, তখন গাড়িটি গুলির আঘাতে ঝাঁঝরা অবস্থায় ছিল। সম্ভবত একাধিক দিক থেকে গুলিগুলো এসেছিল।
প্রজন্মনিউজ২৪/এএন
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এপ্রিল ২০২৪ এইচআরএসএস এর মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন।
সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের অভিযোগ
ধুনটে সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নসেবার কমিটি গঠন
শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানালেন জয়নুল আবদিন ফারুক
ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাবার পানি, স্যালাইন এবং গামছা বিতরণ অনুষ্ঠিত
সময় তিন অক্ষরের এক ছোট নাম কত মূল্যবান
সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা
সিলেট নগরীর সুরমা টাওয়ার থেকে পড়ে সিসিকের এক কর্মচারির মৃত্যু