বাগেরহাটে অর্ধেকেরও কম চিকিৎসকে চলছে জেলা হাসপাতাল

প্রকাশিত: ০৩ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৫২:৩৬

বাগেরহাটে অর্ধেকেরও কম চিকিৎসকে চলছে জেলা হাসপাতাল

বাগেরহাট প্রতিনিধি: অর্ধেকেরও কম চিকিৎসক ও জনবল দিয়ে চলছে বাগেরহাট ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল। প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে রোগীদের যেতে হচ্ছে খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। ফলে যেমন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা, তেমনি পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৮০০ থেকে একহাজার রোগী চিকিৎসা নেন। ২৫০ শয্যার বিপরীতে ৩৫০ থেকে ৫০০ জন পর্যন্ত ভর্তি থাকেন নিয়মিত। বিপুল সংখ্যক এই রোগীর জন্য ৫৬টি চিকিৎসকের পদ বরাদ্দ থাকলেও, ৩০টি রয়েছে শূন্য। এরমধ্যে সহকারী পরিচালক, কনসালটেন্ট চক্ষু, অ্যানেসথেশিয়া, সার্জারি ও কার্ডিওলজির মত গুরুত্বপূর্ণ পদও রয়েছে ফাঁকা।

এছাড়া নার্সের ১০৯টি পদের মধ্যে ২৮টি পদ শূন্য এবং ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ৪৪টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসক ও নার্সদের। প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কাজেও রয়েছে নানা বিড়ম্বনা।

বহির্বিভাগে অপেক্ষারত ষাটোর্ধ বৃদ্ধ আবছার মোল্লা বলেন, ‘চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। শুনলাম চোখের ডাক্তার নেই। পরে ভাবলাম কানের ডাক্তার দেখিয়ে যাই, শুনলাম তাও নেই।’

প্রতিদিন আবছারের মত অনেকেই ফিরে যায় চোখ ও নাক-কান-গলার সমস্যা নিয়ে। এছাড়া হাসপাতালে সিরাম ইলেক্ট্রোলাইট, থাইরয়ডের পরীক্ষা, ইকো ও সিটিস্ক্যাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় রোগীদের প্রতিদিন যেতে হয় বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

জাহাঙ্গীর নামে এক রোগী বলেন, ‘এখানে ডাক্তার দেখার পরে অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে রক্তের ২টি পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে হয়েছে।’

বাগেরহাটের স্বাস্থ্য উপকমিটির আহ্বায়ক বাবুল সরদার বলেন, ‘১৫ বছরে বাগেরহাটে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। জেলার প্রধান হাসপাতালে একটা সিটিস্ক্যান মেশিন নেই, একটা ইকো মেশিন নেই, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এভাবে চললে জেলার লোকজন কিভাবে সেবা পাবে!’

বাগেরহাট ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘আমাদের ৫৮টি প্রথম শ্রেণির পদের মধ্যে ৩২টি পদই শূন্য রয়েছে। এছাড়া প্যাথলজিকাল কিছু সংকটও রয়েছে। রোগীর সংখ্যাও বেশি। তারপরও আমরা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।’


প্রজন্মনিউজ২৪/টিএম
 

এ সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এপ্রিল ২০২৪ এইচআরএসএস এর মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন।

সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের অভিযোগ

ধুনটে সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নসেবার কমিটি গঠন 

শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানালেন জয়নুল আবদিন ফারুক

ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাবার পানি, স্যালাইন এবং গামছা বিতরণ অনুষ্ঠিত

সময় তিন অক্ষরের এক ছোট নাম কত মূল্যবান

সিলেট নগরীর সুরমা টাওয়ার থেকে পড়ে সিসিকের এক কর্মচারির মৃত্যু

পিরোজপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ইঞ্জিনিয়ার নিহত

অনুশীলনে চোট পেয়েছেন লিটন

টেকনাফে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা, মূল অভিযুক্তসহ ৬ আসামি গ্রেপ্তার

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ