প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৬:২৬:৪৩
অনলাইন ডেস্ক: টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের অন্তত ৯ আহত হয়েছেন। আহতদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মান্নান হলে এ ঘটনা ঘটে। হামলার জেরে বুধবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যে কোনো সংঘর্ষ এড়াতে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীলের অনুসারী রুবেলকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের অনুসারীরা। এ ঘটনায় সভাপতির অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়। প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তারা একত্রিত হয়। মঙ্গলবার রাতের খাবার শেষে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা আব্দুল মান্নান হলের ছাদে বসে গল্প করছিলেন। রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীলের অনুসারী সাফি মোরসালিন, আবিদ, রকি, ইদ্রিস, রবিউল, অপু, বিশ্বজিৎ ও রুবেলের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে তারা বিএনবি বিভাগের সোহানুর রহমান সোহানকে হলের তিন তলার ছাদ থেকে নিচে ফেলা দেয়। এ ঘটনায় আহত ৯ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত সোহানকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানায়, তার কোমর ভেঙে গেছে ও দুই পায়ের হাড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। পরে তাকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।
হামলায় আহতরা হচ্ছেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনবি বিভাগের সোহানুর রহমান সোহান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের রকি, আইসিটি বিভাগের জয় ধর, কেমিস্ট্রি বিভাগের সজিব শেখ, অর্থনীতি বিভাগের সৌরভ, মিনার, নাঈম রাজ, আইসিটি বিভাগের সৌরভ, টেক্সটাইল বিভাগের তামীম। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক। সোহান ছাড়াও আহত রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে হামলার ঘটনায় সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের অনুসারীরা বুধবার বিকেলে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে। তারা হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীর জানান, হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটানোর চেষ্টা করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন ।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল হামলার ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে সিসি ফুটেজ দেখে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের খুঁজে বের করে তিনিও শাস্তির দাবি জানান।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মীর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক জানান, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সভা আহ্বান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তর মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রজন্মনিউজ২৪/এফএইচ
বশেমুরবিপ্রবিতে গুচ্ছভুক্ত ‘এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নোবিপ্রবিতে " এ " ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি হার ৮৭•৮৫ শতাংশ
পবিপ্রবিতে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
আগামী দুইদিন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙতে পারে
টানা চার বারের মতো কমলো সোনার দাম
নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হাবিপ্রবি কেন্দ্রের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
যে শর্তে ইসরাঈলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
কাল থেকে খুলছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
ইউপি সদস্য কর্তৃক অসহায় নারীকে ধর্ষণ এক লক্ষ টাকায় ধামাচাপা