খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:৫৪:১৯ || পরিবর্তিত: ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০৭:৫৪:১৯

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

খুলনা প্রতিনিধি: সরকারি মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী শীতের বাহারি নবান্ন ও পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।

 

শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টিএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

পরে অতিথিরা পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। কলেজ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ৩৮টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের দিনব্যাপী পিঠা উৎসব।
আর সেসব স্টলে প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে বাহারি নাম, দেশীয় সাজসজ্জা আর হরেক রকমের পিঠাপুলি। মেলা শেষ হয় বিকেল ৫টায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পিঠার মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ক্যাম্পাসজুড়ে। হরেক রকমের পিঠাপুলি নিয়ে সাজানো হয়েছে প্রতিটি স্টল। বেলুন, প্ল্যাকার্ড আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নানা নামে বাহারি সাজের সুস্বাদু পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছে উৎসবে। পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- চিতই, ভাপা, পুলি, পাটিসাপটা, দুধচিতই, নকশি পিঠা, গোলাপ পিঠা ও জামাই পিঠার মতো বাহারি নামের পিঠা। শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনায় কোলাহলমুখর হয়ে উঠেছে উৎসবস্থল।

আগত শিক্ষার্থীরা বলেন, মেলায় এসেছি পিঠা খেতে। এখানে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বেশ ভালো লাগছে। প্রত্যেক বছর এই মেলার দাবি জানান তারা। কলেজ ছাত্রীরা ছাড়াও বাইরের অনেকে এসেছেন পিঠার লোভে।

কলেজের অধ্যক্ষ প্রফসের টি এম জাকির হোসেন বলেন, পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এ পিঠা উৎসব আমরা হারাতে বসেছিলাম। একসময় শুধু গ্রামের মানুষই পিঠা খেত। শহরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরজীবীদের কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতো অথবা গ্রাম থেকে শহরে বসবাসকারী প্রিয়জনদের জন্য পিঠা তৈরি করে পাঠাতো স্বজনরা। গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য পিঠাপুলিকে শহরবাসীর কাছে পরিচিত করতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পিঠা উৎসবে ৩৮টি স্টল রয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে দেশজ সংস্কৃতিকে বিস্তৃত পরিসরে তুলে ধরার প্রত্যয়ে দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসবের আয়োজন। এতে নাগরিক পটভূমিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা রকমের পিঠা পুলির উৎসব।


প্রজন্মনিউজ২৪/এএএ

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ