মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা, নারীসহ নিহত ৯

প্রকাশিত: ১৪ জুন, ২০২৩ ০৩:৩৩:১৮

মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা, নারীসহ নিহত ৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিগত সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে (ফাইল ছবি)

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে আবারও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এই সহিংসতায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারীও রয়েছেন।

এছাড়া রাজ্যটিতে আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। বুধবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মণিপুরে নতুন করে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে এক নারীসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যটির খামেনলোক এলাকায় গভীর রাতে গুলি চালানোর ঘটনায় এই মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য ইম্ফলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সহিংসতায় নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরে কাটা দাগ এবং একাধিক বুলেটের আঘাত রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

জাতিগত সংঘর্ষের কারণে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যটিতে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। আর সর্বশেষ এই ঘটনা মণিপুর রাজ্যে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় বড় ধাক্কা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া গতকাল রাতের ঘটনার পর শিথিল কারফিউ আবারও কঠোর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে মণিপুর রাজ্যের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর মাঝে উত্তেজনা চলছে। গত মাসের শুরুর দিকে স্থানীয় কুকি উপজাতিরা তফসিলি উপজাতির মর্যাদার দাবির প্রতিবাদে ৩ মে সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে। এই সমাবেশ ঘিরে ওই দিন পার্বত্য এই রাজ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা ওই সহিংসতায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এতে কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

রাজ্যের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে কুকি গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর ফলে সেখানে দফায় দফায় আন্দোলনও হয়। মণিপুর রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৬৪ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তারপরও ওই রাজ্যের মোট ভূখণ্ডের মাত্র ১০ শতাংশের মালিকানা এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের হাতে রয়েছে। ভারতের এই রাজ্যে তফসিলি উপজাতিদের বাইরে পাহাড়ী এলাকায় অন্য কারও জমি কেনার অনুমতি নেই।

সম্প্রতি ভারতের হাইকোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিদের তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। মেইতেই সম্প্রদায়ের সদস্যরা তফসিলি উপজাতিদের তালিকায় ঠাঁই পেলে রাজ্যে জমি কেনার অনুমতি পাবেন।

এদিকে, জাতিগত সহিংসতায় বিধ্বস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে মে মাসের শেষের দিকে সফরে গিয়েছিলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেসময় তিনি সহিংসতায় জড়িত মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদেরকে শান্তি বজায় রাখার এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।


প্রজন্মনিউজ২৪/একে

এ সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এপ্রিল ২০২৪ এইচআরএসএস এর মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন।

খালে ভাসছে বাঘের দেহ! 

সম্মানহানির বিচার চেয়ে জবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডীনের অভিযোগ

ধুনটে সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নসেবার কমিটি গঠন 

শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানালেন জয়নুল আবদিন ফারুক

ফরিদপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে খাবার পানি, স্যালাইন এবং গামছা বিতরণ অনুষ্ঠিত

সময় তিন অক্ষরের এক ছোট নাম কত মূল্যবান

সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা

সিলেট নগরীর সুরমা টাওয়ার থেকে পড়ে সিসিকের এক কর্মচারির মৃত্যু

পিরোজপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী ইঞ্জিনিয়ার নিহত

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ