সিটি করপোরেশন নির্বাচন বহিষ্কার আমলে না নিয়ে মাঠে বিএনপি নেতারা

প্রকাশিত: ১৮ মে, ২০২৩ ১১:০৬:২০

সিটি করপোরেশন নির্বাচন বহিষ্কার আমলে না নিয়ে মাঠে বিএনপি নেতারা

 নিজস্ব প্রতিবেদক: দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অমান্য করে স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের কেউ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আবার অনেকে করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

শাস্তির ভয় দেখিয়েও তাদের বাগে আনতে পারছে না বিএনপির হাইকমান্ড। বহিষ্কার আমলে না নিয়ে বিএনপি নেতারা নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছেন।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে বিএনপি আগেই ঘোষণা দিয়েছে। গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে কোনো উপায়ে দলীয় নেতাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কোনোভাবে বাগে আনা যাচ্ছে না। এমনকি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এড়িয়ে চলছেন তারা। স্থানীয় নেতাদের দাবি-ঘরে-বাইরের উভয় চাপে পড়ে তারা কাউন্সিলর পদে আগ্রহী হয়েছেন। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে বলে বিএনপির হাইকমান্ড জানিয়েছে। ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৯ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রাজশাহীতে ২০ জন এবং বরিশালে ১০ কাউন্সিলর প্রার্থী বহিষ্কারের ঝুঁকিতে রয়েছেন। নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে ৩২ নেতাকে চিঠি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। খুলনায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের তালিকা তৈরি করছে জেলা বিএনপি। এ সম্পর্কে ব্যুরোর পাঠানো খবর :

রাজশাহী : রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতে কাউন্সিলর পদে বিএনপি নেতারা ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।

আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠেয় নির্বাচন থেকে দলের নেতাদের বিরত রাখতে ১১ মে ঢাকার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতাদের জরুরিভাবে তলব করেন তারেক রহমান। সেখানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন হাজির হন। ভিডিওকলে তারেক রহমান বলেন, এ সরকারের অধীনে কোনো পর্যায়ের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না-এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সুতরাং মেয়র বা কাউন্সিলর পদে যাতে কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ না নেন; সে পদক্ষেপ নিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজশাহী বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানান, দলের প্রার্থীরা তাদের নির্দেশনা মানছেন না। এমনকি ফোন পর্যন্ত ধরছেন না।

কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়া বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা বলছেন, কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য তারা দীর্ঘদিন থেকে মাঠে রয়েছেন। শেষ সময়ে এসে নির্বাচন করবেন না এমনটি হয় না। তাদের যুক্তি, কাউন্সিলর নির্বাচন দলীয়ভাবে হয় না। দলীয় প্রতীকও থাকে না। এ কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো সমস্যা নেই। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিতে তাদের ওপর কর্মী-সমর্থকদের চাপ রয়েছে। কাউন্সিলর পদে বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন-১৬নং ওয়ার্ডে শাহ মখদুম থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলাল হোসেন, ১৯নং ওয়ার্ডে মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটো, ১৪নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক টুটুল, ১৫নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সোবহান লিটন, ১২নং ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দিলদার হোসেন, ১১নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কিনু, ১৩নং ওয়ার্ডে বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, ১৮নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জিল্লুর রহমান। এছাড়া সংরক্ষিত ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক সামসুন নাহার এবং সংরক্ষিত ৬, ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী বেলি খাতুন ভোট করছেন।

জানতে চাইলে নুরুজ্জামান টিটো বলেন, সিটি নির্বাচন না করলে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের ধরে রাখা কঠিন। মূলত দলের স্বার্থেই তিনি ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এতে দল সাংগঠনিকভাবে লাভবান হবে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর দিলদার হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শেষ মুহূর্তে এসে বিষয়টি নিয়ে বেকায়দায় রয়েছি। শাহ মখদুম থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি বেলাল আহমেদ বলেন, আমি এখনও কাউন্সিলর। আমার ওয়ার্ডে অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আবারও নির্বাচিত হয়ে সেগুলো শেষ করতে চাই।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ইশা বলেন, আমরা বিএনপির প্রার্থীদের ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাদের ডেকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু অনেকেই আসছেন না। ফোন দিচ্ছি, ধরছেন না। এরপরেও যারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচন করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

খুলনা : আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অনেক ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আগ্রহী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তাদের আজীবন বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ জন্য মহানগর বিএনপি তালিকা তৈরির কাজও শুরু করেছে।

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন তোতন ৫নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন সংরক্ষিত ৯ আসনে, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বর্তমান কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন, ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলর এবং সাবেক ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শমশের আলী মিন্টু, ২৫নং ওয়ার্ডে সাবেক ছাত্রনেতা ইমরান হোসেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মাহাবুব কায়সার ২২নং ওয়ার্ডে এবং সাবেক বিএনপি নেতা ও ৩০নং ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত সাবেক কাউন্সিলর মুহা. আমান উল্লাহ আমান মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন  বলেন, দেশ ও দলের প্রতি যাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই তাদের দল কোনো ছাড় দেবে না। এ বিষয়ে দল হার্ডলাইনে আছে। যারা নির্বাচন করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত আসছে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা  জানান, দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির ন্যূনতম প্রাথমিক সদস্যপদ আছে এমন কতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। তালিকা করে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করব। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৬-৭ জনের তথ্য আমরা পেয়েছি। কেসিসির সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডে ১৪৯ জন, সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান নেতা।

বরিশাল : আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি কঠোর অবস্থানে থাকলেও এক কুড়ি বিএনপির নেতাকর্মী ভোটযুদ্ধ অংশ নিতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে পদধারী রয়েছেন ১০ জন। তারা বহিষ্কার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবীর জাহিদ জানান, দলীয় নির্দেশ অমান্য করে কেউ নির্বাচন করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। তিনি বলেন, আমার জানা মতে ৯ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি কেন্দ্র দেখবে।

কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দখিল করেছেন-৬নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, ১৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আমিনুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম আজিম, ৮নং ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সদস্য সেলিম হাওলাদার এবং ৩নং ওয়ার্ডে সৈয়দ ফারুক। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বিএনপি নেত্রী রাশিদা বেগম, সেলিনা বেগম ও জাহানারা বেগম।

হারুন অর রশিদ বলেন, আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। এখন এলাকাবাসীর আগ্রহে আবার নির্বাচন করতে হচ্ছে। এখন সরে গেলে সেটা ঠিক হবে না। জেলা তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি কাজী শাহিন মোহন বলেন, আমি এখন আর দলীয় পদে নেই। এছাড়া আমার কাছে মনে হচ্ছে-এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তাই আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছি। ছাত্রদলের মহানগরের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বরিশাল জেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাবের আবদুল্লাহ সাদি বলেন, বর্তমানে তার কোনো পদ নেই। তাছাড়া এটা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। স্থানীয় মুরব্বি ও মুসল্লিরা নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ দিচ্ছেন। তাই নির্বাচন করছেন।

গাজীপুরে বহিষ্কার বিএনপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া : আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নেওয়া ২৯ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নাসিমুল ইসলাম মনির (জিএস মনির) বলেন, কাউন্সিলর পদে আমি আগেও নির্বাচন করেছি। এবার অংশ নিতে আগে থেকেই মাঠে আছি। দল এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে আগে বুঝতে পারিনি। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগে হলে ভালো হতো। কিন্তু এত দূর এসে টাকা-পয়সা খরচ করে তো নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারি না। দল বহিষ্কার করলেও নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হান্নান মিয়া হান্নুসহ বিএনপির একাধিক নেতা একই ধরনের কথা বলেন।

সিলেট : আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলের ৩২ নেতাকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। চিঠিতে বলা হয়েছে, সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হলে চিরতরে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। যদিও অধিকাংশ মনোনয়নপত্রই সংগ্রহ করেননি। তবে বহিষ্কারের হুমকি মাথায় নিয়ে মাঠে তৎপর বিএনপির সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন-১নং ওয়ার্ডে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ৪নং ওয়ার্ডে রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, ৬নং ওয়ার্ডে ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ১৪নং ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম মুনিম, ১৮নং ওয়ার্ডে এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল, ২১নং ওয়ার্ডের আবদুর রকিব তুহিন, ২২নং ওয়ার্ডে সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, সাবেক সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপি, ২৬নং ওয়ার্ডের সেলিম আহমদ রনি, ২৯নং ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তফা কামাল, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমীর হোসেন, ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা যুবদলের সাবেক নেতা সুমন সিকদার, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বজলুর রহমান, ৪০নং ওয়ার্ডে ছাত্রদলের সাবেক নেতা আবদুল হাসিব, ৩৯নং ওয়ার্ডে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, ৩৮নং ওয়ার্ডে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক উসমান হারুন পনির, ৩৭নং ওয়ার্ডে দিলওয়ার হোসেন, ৩৩নং ওয়ার্ডে ছাত্রদল নেতা দিলওয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা গৌস উদ্দিন, ৩২নং ওয়ার্ডে যুবদল নেতা কামাল আহমদ, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান এবং ২৩নং ওয়ার্ডে বিএনপি নেতা মামুনুর রহমান। এছাড়া সংরক্ষিত ৯নং ওয়ার্ডে মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী অ্যাডভোকেট রোকসানা বেগম শাহনাজ রয়েছেন।

কাউন্সিরল প্রার্থী সৈয়দ তৌফিকুল হাদী বলেন, ভোটাররা মানছেন না। মার্কা নয়, আপনাকে দেখেই আমরা ভোট দিয়ে আসছি। আমাদের ছেড়ে যাবেন না। তাদের দিকে তাকিয়েই প্রার্থী হতে হচ্ছে। দলের সতর্কতাও পেয়েছি। প্রচণ্ড চাপে আছি, দেখি কী করা যায়। ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন, আমি পর্যবেক্ষণে আছি। তবে এলাকাবাসী আমাকে ছুটি দেবেনই না, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাউন্সিলর পদ দলীয় নয়। সালেহা কবির শেপী বলেন, সব গোছানোর পর দলের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা বড় অসময়। একবার হাতছাড়া হয়েছিল। এবার প্রার্থী না হলে এলাকায় মুখ দেখাতেই পারব না।


প্রজন্মনিউজ২৪/এমএইচ 

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ