বিভাগের সভাপতিকে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর, ২০২২ ০৪:৪৬:০৯

বিভাগের সভাপতিকে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে

রাবি প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি এ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা, মারার হুমকি দেওয়া এবং অফিস কক্ষে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল নয়টার দিকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমাত আরা বেগমের অফিস কক্ষে এঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. হাকিমুল হক একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

এবিষয়ে অধ্যাপক ইসমাত আরা বেগম বলেন,'সে আজ সকালে আমার অফিস কক্ষে তার একটি চিঠি স্বাক্ষর করানোর জন্য নিয়ে আসেন। এসময় আমি তাকে পূর্বের একটি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি এবং তা নাহলে তার চিঠিতে আমি স্বাক্ষর করবোনা বলে জানায়। এরই প্রেক্ষীতে সে আমাকে স্বাক্ষর দেয়ার জন্য হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং টেবিল চাপড়িয়ে টেবিলের গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। এছাড়া, কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় আমাকে লেখার অযোগ্য ভাষায় গালি দেয় এবং পরবর্তীতে লাঠি দিয়ে মারার হুমকি দেয়। ঘটনাটির দৃশ্য কক্ষের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাবে।'

তিনি আরো বলেন,'এর আগে অন্য আরেকজন শিক্ষিকাকেও সে এভাবে গালি দেওয়ায়, ওই শিক্ষিকা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। সে বেশ কিছু দিন থেকে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে কুরুচীপূর্ণ ব্যবহার ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে আসছেন। গত ১৬ অক্টোবরেও আমার সাথে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করে এবং শুয়োরের বাচ্চা ও পাগল বলে গালি দেয়। সহকারী প্রক্টর হওয়ার পর থেকে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া, তার পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। এজন্য একাকীত্বতা থেকেও তার আচরণে পরিবর্তন এসে থাকতে পারে।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. হাকিমুল হক বলেন,'অভিযোগগুলো সব মিথ্যা। আমি গতকাল সারারাত ধরে আমার একটা প্রজেক্ট রেডি করেছি। আমি একজনের মাধ্যমে আমার প্রজেক্ট পেপারটি স্বাক্ষর করার জন্য তার কাছে পাঠায়। কিন্তু সে আমার চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি। বিভাগের চেয়ারম্যান হিসাবে তার দায়িত্ব ছিলো তার রুটিন দায়িত্ব পালন করা। তার কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, ওইটার ফুটেজ দেখলেই সব বোঝা যাবে।'

তিনি আরো বলেন,'সে আসলে জামায়াতপন্থী একজন শিক্ষক। এর আগে, সে আমার ছুটির দরখাস্ত ফরওয়ার্ড করেননি। আজ আমাদের ডিনের একটা চিঠিতে স্বাক্ষর করেনি। সে আসলে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার সাথে আরো একজন আছেন। এই দুই অসুস্থ লোকের কাজই হলো যেকোনোভাবে একটা ইস্যু তৈরী করা।'

এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল- ইসলাম বলেন,'এবিষয়ে কিছুটা শুনেছি। তবে বিস্তারিত এখনো জানতে পারিনি। বিভাগের চেয়ারম্যান বা অন্যকেউ এখনো এবিষয়ে কিছু বলেনি। বিভাগ থেকে যোগাযোগ না করা পর্যন্ত, এবিষয়ে কিছু বলা উচিতনা।'


প্রজন্মনিউজ24/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ