ইন্দুরকানীতে জোয়ারের পানিতে ভাসছে চাড়াখালি গুচ্ছ গ্রাম

প্রকাশিত: ১৪ অগাস্ট, ২০২২ ০৫:৪০:৫০

ইন্দুরকানীতে জোয়ারের পানিতে ভাসছে চাড়াখালি গুচ্ছ গ্রাম

হাসিব বিল্লাহ, (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে উপকূলের জেলা পিরোজপুরের নিম্নাঞ্চল ও আশ্রায়ন প্রকল্প গুলো প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতার জোয়ারের পানিতে ভাসছে চর এলাকার আশ্রায়নের বাসিন্দারা।

 রবিবার দুপুরে উপজেলার চাড়াখালি গুচ্ছ গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্পে সরেজমিনে দেখা যায়, জোয়ারের প্রভাবে নদী তীরে দাড়িয়ে থাকা সারি সারি আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছে সেখানের বাসিন্দারা। গৃহপালিত পশু-পাখি রাখার ঘরে পানি প্রবেশ করায় ওই পশু- পাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছে আশ্রায়নের মানুষ। টয়লেটের মধ্যে পানি ঢুকে যাওয়ার আশেপাশের পরিবেশ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পরছে। 

এ আশ্রায়ন প্রকল্পের পাশাপাশি টগড়া, উমেদপুর, চাড়াখালী, উত্তর ভবানীপুর, দক্ষিণ ইন্দুরকানী, কালাইয়া, রামচন্দ্রপুর, সাঈদখালী আবাসন, চরনী পত্তাশী, বালিপাড়া, চরবলেশ্বর, খোলপটুয়া, উত্তর কলারণ পাড়েরহাট আবাসন গাজীপুর সহ উপজেলার প্রায় ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং অধিকাংশ মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। 

চাড়াখালি গুচ্ছ গ্রাম আশ্রায়নের বাসিন্দা ইদ্রিস মোল্লা বলেন, জোয়ারের পানি ও রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারনে আমাদের ঘরগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। চারিদিকে জোয়ারের পানি থাকায় ঠিক মতো কাজ করতে পারছি না। ইনকামের পথ বন্ধ। আশ্রায়নের আরেক বাসিন্দা নুপুর বেগম বলেন, রান্নাঘরে চুলার মধ্যে পানি ঢুকে গেছে। পাশের ঘরে চুলা শুকনো ছিল সেখানে গিয়ে রান্না করে নিয়ে এসেছি। বাচ্চাদের ঠিক মতো খাবার না দিতে পারায় ওরাও কষ্ট পাচ্ছে। আট বছরের শিশু চাঁদনি বলে, চারপাশে পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় স্কুলে যেতে পারি নাই। সাতার ও যানি না পানির জন্য আমাদের অনেক ভয় হয় ।

এ দিকে ইন্দুরকানি সদর (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ করিম তালুকদার বলেন, আমি দুপুরে চাড়াখালি গুচ্ছ গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্পে গিয়েছিলাম। পানি বৃদ্ধির কারণে সেখানে অনেক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। আমি ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি ওই সকল পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য। খাবার পেলে আমি বিতরণ করে দিব।

পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওন তালুকদার জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাড়েরহাট বন্দর সহ নদীতীরবর্তী গ্রাম গুলো ডুবে যাওয়ায় এলাকার মানুষ
দূর্ভোগে পড়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম জানান, পানি বৃদ্ধি পেয়ে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ বিষয় আমরা মনিটারিং করছি। পানি বন্ধি চাড়াখালি গুচ্ছ গ্রামের মানুষের জন্য উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সাইক্লোন শেল্টারের ব্যবস্থা করছি এবং পানি বন্ধি মানষের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/খতিব

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ