শ্রীনগরে পরকিয়ার জেরে বন্ধুকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ২৪ মে, ২০২২ ১০:৩৩:৫৮

শ্রীনগরে পরকিয়ার জেরে বন্ধুকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে হত্যার চেষ্টা

আব্দুর রকিব,শ্রীনগর প্রতিনিধিঃ শ্রীনগরে পরকিয়ার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক বন্ধুকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করেছে তারই বন্ধু। হাতুরি পেটা ও ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা মফিজুল নামে ওই বন্ধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় গতকাল সোমবার মফিজুলের শশুর আব্দুর রহমান বাদি হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত শনিবার রাতে উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের সালেপুর এলাকায় একটি ভূট্টা ক্ষেত থেতে মুমূর্ষ অবস্থায় মফিজুলকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আসংঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ঘটনার পর থেকেই মফিজের ঘাতক বন্ধু পারভেজ পলাতক রয়েছে।

মফিজুলের শাশুরি জানান, মফিজুলের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলায়। সে  বিয়ের পর থেকে আমাদের বাড়িতেই থাকে। তাদের সংসারে ৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মফিজ বীরতারা এলাকার পারভেজের সাথে সহকারী হিসাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। কাজের সুবাদে মফিজের সাথে পারভেজের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এর সুবাদে পারভেজ প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো।

অপর একটি সূত্র জানায়, মফিজের স্ত্রীর উপর পারভেজের চোখ পরে। বিষয়টি মফিজ টের পেয়ে তার স্ত্রী রুপাকে শাষন করায় পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এর জেরেই সে মফিজকে হত্যা করার পরিকল্পনা নেয়।মফিজের স্ত্রী রুপা বেগম বলেন, বীরতারা গ্রামের তৈয়ব আলী ফকিরের ছেলে পারভেজের সাথে আমার স্বামী রাজমিস্ত্রী কাজ করে। সেই সুবাদে পারভেজ প্রায়ই আমাদেও বাড়িতে আসতো।

শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে সে ফোন করে আমার স্বামীকে বড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় মফিজ আমাকে বলে যায় পারভেজ ভাইয়ের সাথে আমি এক যায়গায় পাওনা টাকা আনতে যাচ্ছি। পরে রাত ৯টার দিকে আমি তাকে ফোন দিয়ে তার ফোন বন্ধ পাই। তখন আমার বাবাকে পারভেজের বাড়িতে পাঠাই। সে সহ পারভেজ আমরা স্বামীকে খুজতে বাজারে যায়।

রাত সাড়ে নয়টার দিকে আমার স্বামী আমাকে ফোন দিয়ে বলে, রুপা আমাকে মাফ করে দিস আমি মরে যাচ্ছি। পাড়লে আমাকে বাচা। কোথায় আছে জানতে চাইলে বলে ভূট্টা ক্ষেতের মাঝ খানে। এটা বলেই ফোন রেখে দেয়। বিষয়টি আমি আমার বাবাকে  ফোন করে জানানোর পর পারই পাবভেজ সিগারেট কেনার কথা বলে পলিয়ে যায়।

আমরা লোকজন নিয়ে মফিজকে খুজতে বের হই। অনেক গুলো ক্ষেতে খোজার পরে মোকলেস মেম্বারের বাড়ি বরাবর সালেপুর চকের একটি ক্ষেতে মফিজকে লাশের মত পরে থাকতে দেখি। সবাই মিলে ধরাধরি করে তকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখানেও তার অবস্থা খারাপ। তাকে হাতুরি দিয়ে পিটানো হয়েছে। ছুরি দিয়ে আঘাত কররা পর পারভেজ তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।

আমার স্বামীর অবস্থা বেশী ভাল না মাথায় ১শত ২৬ টা শিলি পরছে। বাচবে কি না বলতে পাড়ছি না। আমি পারভেজের বিচার চাই। পরকিয়ার প্রশ্নে রুপা জানান, আমার স্বামীর তুলনায় পারভেজ কোন দিক দিয়ে ভাল যে তার সাথে সম্পর্ক হবে?

শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


প্রজন্মনিউজ২৪/রেদওয়ান

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ