সরকারের উচ্চমহলের অনুরোধে এখানে এসেছি: ড. জাফর ইকবাল

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী, ২০২২ ০৫:২৮:১৭

সরকারের উচ্চমহলের অনুরোধে এখানে এসেছি: ড. জাফর ইকবাল

সরকারের উচ্চমহলের অনুরোধে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি জানান, ‘সরকারের উচ্চমহলের অনুরোধে তিনি এখানে এসে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙিয়েছেন। তাকে দেয়া কথা রাখা হবে, সেই আশা তার।’

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। এরপর বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টা ৫৪ মিনিটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আসেন। এরপর ৪টার দিকে তিনি অনশনস্থলে যান। সেখানে গিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক। এরপর তারা অনশনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছবি তোলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘আপনারা (সরকারের উচ্চমহলের প্রতিনিধি) আমার কাছে এসেছেন, আমি আপনাদের কাছে যাই নাই। যেহেতু আপনারা অনুরোধ করেছেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেব, আপনি গিয়ে এই ছেলে-মেয়েদের অনশনের হাত থেকে রক্ষা করেন। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি।’

এ সময় তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক বলেন, ‘তারা (সরকারের উচ্চমহলের প্রতিনিধি) আমাদের বাসায় এসেছেন।’

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাংবাদিকরা মুহম্মদ জাফর ইকবালকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তারা (সরকারের উচ্চমহলের প্রতিনিধি) যখন বলেছেন, দাবি-দাওয়া মেনে নেবেন, এর মধ্যে কিন্তু এই দাবিটাও পড়েছে। সরকারের হয়তো টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য হয়তো তাদের একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, আমি শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে ফেরাবো।’

মুহম্মদ জাফর ইকবাল উপাচার্যের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেবেন না বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি সেই টাইমফ্রেইম বেঁধে দেয়ার জায়গায় যেতে চাই না। এটা ছাত্ররা বলুক। এটা তাদের জন্য বলা সহজ। কিংবা যারা কাজ করছেন, তারা বলুক। আমি এসেছি মূলত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য। তারা আমাদের কথায় অনশন ভেঙেছে। আমি তাতে অত্যন্ত খুশি হয়েছি, আনন্দিত হয়েছি, তাদের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো যে, তারা আমাদের অনুরোধে অনশনটা ভেঙেছে।’

এ সময় মুহম্মদ জাফর ইকবালের পাশে থাকা ইয়াসমিন হক বলেন, ‘আমরা আসার আগে ওদের (আন্দোলনরত শিক্ষার্থী) ফোন করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমরা কি আসবো? তোমরা কি আমাদের সঙ্গে কথা বলবে?

ওরা বলে, “অবশ্যই কথা বলবো, ম্যাডাম-স্যার আপনারা আসেন।” তারপর তারা বলে, কাল সকালবেলা নয়, আপনারা রাতেই আসেন।” তাই আমরা রাতেই চলে এসেছি। অনশনে একেক ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ। আসলে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে, ওরা আমাদের কথাটা শুনেছে, ওরা কথা রেখেছে। ওরা অনশন ভেঙেছে। আমাদের জন্য এটা বড় পাওনা।’

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ