বিএনপির সব এজেন্টকে মেরে বের করে দেয়া হয়েছে:মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী, ২০২১ ১১:৩৯:২৪

বিএনপির সব এজেন্টকে মেরে বের করে দেয়া হয়েছে:মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্টদের মেরে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন শাহাদাত হোসেন।ভোট দেয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সব এজেন্টকে মেরে বের করে দিয়েছে সকালে।আমি সকাল ৬টা থেকে মনিটরিং করছিলাম।ওভারঅল দেখলাম, বেশিরভাগ এজেন্টকে তারা মেরে বের করে দিয়েছে।এজেন্টদের জিজ্ঞেস করলাম, তারা বললো, হ্যাঁ কার্ড-টার্ড ছিড়ে বের করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পিসাইডিং অফিসারকে জিজ্ঞেস করতে হবে, ধানের শীষের এজেন্ট নাই কেন? যদি একজন প্রার্থীর এজেন্ট না থাকে তাহলে উনাকে জিজ্ঞেস করতে হবে যে, ওই প্রার্থীর এজেন্ট কোথায় গেল, এরা কোথায়? নির্বাচন কমিশনেরই একটি অংশ এজেন্ট।এটা দেখা তাদেরই দায়িত্ব।’
ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থী বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা হাসানুজ্জামানকে বিষয়টি জানালে তিনি দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে বলেন।কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার তার কক্ষে দরজা বন্ধ করে বসে রয়েছেন।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ভোটে আমি শেষ পর্যন্ত থাকবো।তাদের ভোট ডাকাতির মুখোশ সারাবিশ্বকে জানাবো।প্রশাসন আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করতে উঠেপড়ে লেগেছে।প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছে না।’

এদিকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে বিএনপির এজেন্ট না থাকার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে তারা (বিএনপি) কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে পারেনি।সারা শহরে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শাহাদাত হোসেনের নিজ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত নগরের চকবাজার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (বিএড কলেজ) তিনটি কেন্দ্রে কোনো এজেন্ট নেই।বুধবার সকালে ভোট শুরুর পর পরই কেন্দ্রগুলো ঘুরে বিএনপির কোনো এজেন্টের দেখা পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২২৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী।এর মধ্যে ৩৯ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ১৬৯ জন।বাকি দুই ওয়ার্ডে ওই পদে নির্বাচন হচ্ছে না।সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ৫৭ জন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্রে তৈরি করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথ। এসব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৭৭৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার।

প্রজন্মনিউজ২৪/হারুন

পাঠকের মন্তব্য (০)

লগইন করুন



আরো সংবাদ














ব্রেকিং নিউজ